সুরুচিরকুটীর। উল্লেখ করিলেন, প্ৰস্তাব কৰ্ত্তাগণ র্তাহার উচ্চ অভিপ্ৰায় উপলব্ধি চরিতে পারিলেন না ; তাহারা মনে মনে বিবেচনা করিলেন, বাধ হয় বিধবা বিবাহ করিতে ইহার সাহসী হইতেছে না, অথচ আত্ম দুৰ্ব্বলতা প্ৰকাশ করিতেও সঙ্কোচ হইতেছে, কাযেই বাককৗশল করিয়া ও পাণ্ডিত্য দেখাইয়া আমাদিগকে বিদায় করিতে সাহিতেছে । তাহাদিগের মধ্যে এক ব্যক্তি সুরেশকে সম্বোধন । করিয়া বলিলেন, “মহাশয়, আপনার কথা শুনিয়া বোধ হয় না। য, আপনি এদেশের লোক। আপনি যদি গৌরাঙ্গ পুরুষ হইতন, আমরা মনে করিতাম। আপনি এইমাত্র বিলাত হইতে মাসিয়াছেন। দেশ কাল পাত্র বিবেচনা করিয়া কথা বলিতে হয়। আমরা গ্রীষ্মপ্ৰধান দেশের লোক, শীতপ্রধান স্থানের রীতি নীতি অনুকরণ করা কি আমাদিগের পক্ষে সঙ্গত হইতে পারে ? আপনি ইংরেজি রীত্যনুসারে পূৰ্ব্বে পরিচয় করিয়া বিবাহ করিতে চাহেন, কোন বাঙ্গালী ভদ্রলোক বিবাহের পুৰ্ব্বে নিজ কন্যার সাহিত্য আপনার এইরূপ পরিচয় করিয়া দিতে সম্মত হইবে ? কেই বা অষ্টাদশ বর্ষ পৰ্য্যন্ত আপনার জন্য কন্যা অবিবাহিত রাখিবে ? আপনি যদি প্ৰকৃতপক্ষেই এই সঙ্কল্প করিয়া থাকেন, স্মৃমি নিশ্চয় বলিতে পারি, আপনাকে “কাৰ্ত্তিক” হইয়া থাকিতে হইবে। পবিত্র দাম্পত্য সুখ আপনার অদৃষ্ট্রে নাই।” সুরেশচন্দ্ৰ হাসিয়া বলিলেন, যে বিবাহ হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষানুরূপ না হইবে, তেমন বিবাহ করা অপেক্ষা বরং “কাৰ্ত্তিক” হইয়া থাকা শ্রেয়াঃ । আপনার বিশ্বাসানুসারে চলিতে যাইয়া যদি চির দুঃখেও নিক্ষিপ্ত হইতে হয়, আমি তাহাতেও কাতর হইব না। প্ৰস্তাব কৰ্ত্তাগণ সুরেশচন্দ্রের কথা শুনিয়া ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া উঠিয়া গেলেন। ইহা বলা বাহুল্য যে, তাহার সম্মুখে যাহা বলা হইল না, পথে যাইতে যাইতে তাহার দশ গুণ বলা হইল । কেহ