७२ शङ्गप्र्द्रि-कूौद्र । একমাত্ৰ কাৰ্য্যক্ষেত্র, আক্ষেপ এই, গৃহে থাকিয়াও যে কত প্রকার , কাৰ্য্য করা যাইতে পারে, তাহারা তাহাও একবার ভাবিয়া দেখেন না। নির্ধন ভারতে পুরুষই হউন, আর স্ত্রীই হউন, কৰ্ম্মক্ষম কোন ব্যক্তিরই যে বসিয়া থাকিয়া অন্যের অন্ন ধ্বংস করা বিধেয় নহে, তিনি তাহা বুঝিতে পারিলেন। স্ত্রী পুরুষ উভয়ে । উপজািন করিতে পারিলে, যেখানে এখন দরিদ্রতা তথায় সচ্ছলতা উপস্থিত হইবে এবং অসচ্ছল গৃহে ধন প্ৰাচুৰ্য্য-হইবে সুরেশচন্দ্ৰ সুরুচির সদ্বিবেচনার প্রশংসা করিয়া বলিলেন, ‘সুর তোমার করণীয় কাৰ্য্যত তুমি আরম্ভ করিয়াছ, আমি কিরূপে প্রতিবেশী পুরুষদিগকে সৎপথে আনিতে পারি, তাহার পরামর্শ । দাও । এ কাৰ্য্যেও তোমার বিশেষ সাহায্যের প্রয়োজন।” । ! কলিকাতার সহরে শনিবারের রাত্ৰি আতি ভয়ানক ; বোধ হয় যেন পিশাচ্যমূৰ্ত্তি পূৰ্ণগ্রাস বিস্তার করিয়া বসিয়াছে। যেখানে যাও, প্রায় সেইখানেই পৈশাচিক ব্যাপার দেখিতে পাইবে। সুরেশচন্দ্রের পাড়ার অনেক লোকও এই রাত্ৰি পিশাচাশিত হইয়া কৰ্ত্তন করিত। সুরুচি ও সুরেশচন্দ্র পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন, যাহাতে শনিবার রাত্ৰিতে তাহাদিগকে পাপের পথ হইতে বিরত রাখা যায়, এমন কৌশল অবলম্বন করিতে হইবে । যে দিন পরামর্শ করিলেন, তাহার পরবর্তী শনিবার সুরেশচন্দ্ৰ পাড়ার লোকদিগকে তাহার গৃহে জলযোগ করিবার নিমন্ত্রণ করিলেন। তাহারা সকলেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করিল। সুরুচি হারমনিয়াম বাজাইলেন, দুই তিনটী ভাল গান করিলেন ; ; তাহারা শুনিয়া 'মা লক্ষ্মীর’ প্রশংসা করিতে লাগিল। সুরেশচন্দ্র অনেক গুলি ভাল গল্প করিলেন, তৎপর তাহাদিগকে সুরুচির স্বহস্তে প্ৰস্তুত করা নানাবিধ জলযোগের সামগ্ৰী প্ৰদান করা হইল ; এমন সুস্বাদু বস্তু তাহারা আর কখনও খায় নাই। স্ত্রী