পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তৃপাকার করা যায় তবে সে অভিভূত করবে মনকে। তখন লুব্ধ মন বলতে চায়না আর বেশি কাজ নেই। অথচ “আর বেশি কাজ নেই” কথাটাই আর্টের অন্তরের কথা । আর্টের খাতিরেই যথাস্থানে বলা চাই, বাস, চুপ, আর এক বর্ণও না । সংস্কৃত সাহিত্যে সংস্কৃত ভাষার একটি প্রধান সম্পদ ধ্বনিগৌরব । সেই কারণে কোনো কৌশলী লেখক যদি পাঠকের কান অভিভূত করে ধ্বনিমন্দ্রিত শব্দ বিস্তার করে চলে তবে অনেক ক্ষেত্রে তার অপরিমিতি নিয়ে পাঠক নালিশ উপস্থিত করে না । তার একটি দৃষ্টান্ত কাদম্বরী। শুদ্রক রাজার অত্যুক্তি-বহুল বর্ণনা চলল তিন চার পাতা জুড়ে ; লেখকের কলমটা হাপিয়ে উঠে থামল, বস্তুত, থামবার কোনো কলাগত কারণ ছিল না । একথা বলে কোনো ফল হয় না যে এতে সমগ্র গল্পের পরিমাণ-সামঞ্জস্য নষ্ট হচ্চে । কেন না, পাঠক থেকে থেকে বলে উঠচে, বাস্তব বেশ লাগচে । বেশ লাগচে বলেই বিপদ ঘটল, তাই বাণীর প্রগলভতায় বীণাপাণি হার মেনে চুপ করে গেলেন। তার পরে এলে ব্যাধের মেয়ে, শুকপাখীর খাচা হাতে নিয়ে । বন্য সুব ও সঙ্গীত ( 이