পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাড়িয়েও ভিতর থেকে তাদের ছাদ আলাদা হয়ে বেরিয়ে পড়ে, কেবল সেই অংশে মেলে যেটা তাদের স্বভাবের সঙ্গে স্বতই সঙ্গত । দ্বিতীয় কথা হচ্চে এই যে, বাংলা সংস্কৃতির যদি অবশ্যম্ভাবী বৈশিস্ট্য থাকেই ত,ে সেটা কি পুৰাতনের পুনরাবৃত্তিরূপেই প্রকাশিত হোতে থাকবে? কখনই না, কারণ অপরিবর্তনীয় পুনরাবৃত্তি তো প্রাণধৰ্ম্মের বিরুদ্ধ। সেকেলে কবির গানে পাচালি প্রভৃতিতে বাঙালি রুচির একটা আদর্শ নিশ্চয়ই পাওয়া যায় কিন্তু কালক্রমে তার কোনো পরিণতি যদি না ঘটে তবে বলতে হবে সে তাদর্শ মরেছে। শিশুকে বড়ো হোতে হবে, সেই পরিবৃদ্ধির মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন ঐক্যসূত্র বরাবর থাকে কিন্তু অন্তরে বাইরে বদল হয় বিস্তর । তার সজীব কলেবরটা বাহিরের নানা উপাদান সংগ্রহ করতে থাকে, নতুন নতুন অবস্থার সঙ্গে মিল ঘটিয়ে চলে, নতুন পাঠশালায় নতুন নতুন শিক্ষালাভ করে। তার প্রভূত পরিণতি ও পরিবর্তন ঘটে কিন্তু মূল প্রাণের সূত্র যার দুৰ্ব্বল, পুনরাবৃত্তি বই তার আর কোনো গতি নেই। সেই পুনরাবৃত্তির অভাব দেখলেই সুর ও সঙ্গতি レア>