পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুলোচন। কাব্য । نه (s কি তোমার বিধান যে আমায় কেবল দুঃখ পরম্পরা ভোগ করিয়া জীবন শেষ করিতে হইবে ? আমার এত যে দুঃখের অবস্থ, ইহাও কি তদীয় সমীপে হুখের অবস্থা বলিয়া পরিগণিত ? এবারে যে একেবারে অপরিণ হরণীয় দুঃখসলিলে নিপতিত করিলে ? যাহাহক্‌ বুঝিলাম যে, আমার শরীরপরিগ্রহ সৰ্ব্বথা দুঃখভোগের নিমিত্তই হইয়াছে; যদি তাহাই না ঘটিবে তবে আমি বৃক্ষ অবলম্বন করি, তাহাই কেন ভগ্নশাখ হইয় উঠে ? অামার কোন কাৰ্য্যই পরিণামে দুঃখ ভিন্ন স্থথোৎপত্তি হইতেছে না ইহারই বা কারণ কি ? ফলতঃ আমি নিতান্ত হতভাগ্য, আমার এই দুর্ঘটনার কথা লোকে শুনিয়াইব আমাকে কি বলিবে ? বন্ধুকে হারাইয়া উদয়নালায় কোন মুখে গমন করিব ? এইরূপ নানাকথার আলোচন ও চিন্তনের পর লোক পরম্পরায় শ্রীতিগোচর হইল যে, রাজনন্দিনী স্থলোচনার সহিত দৃতিক্রীড়া করিতে গিয়া, শ্রেষ্ঠিনন্দন পরাজিত ও যাবজ্জীবনের নিমিত্ত কারাবরুদ্ধ হইয়াছেন। এই বাক্য শুনিয়া বসন্তের হতাশপ্রায় অন্তঃকরণে কথঞ্চিৎ আশার সঞ্চার হইল ; তিনি তৎকালে অনন্যমন ও অনন্যকৰ্ম্ম হইয়া