পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$(१२ মুলোচনা কাব্য । লম্বনে অভীষ্ট সিদ্ধি হইতে পারে। মনে মনে এইরূপ কল্পনা করিয়া দিন যাপন করিতে লাগিলেন। বাস্তবিক শ্রেষ্ঠিকুমারের বিষম চিন্তা উপস্থিত হইল, তিনি সতত এই চিন্তা করিতেন পাছে এই অস্থলভ অসমুদ্রসস্তুত । কন্যারত্ব ও এই অতুল ঐশ্বৰ্য্য হস্তবহির্ভূত হয়। জগদুর্লভ সাধ্যানুসারে নানা উপায় করিতে লাগিলেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু করিয়া উঠিতে পারলেন না। পতিব্ৰতা সতী নারীদিগের সুরক্ষিত সতীত্বরত্ন কিছুতেই অপহৃত হইবার নহে। সমস্তভূবনপ্রকাশক সূৰ্য্য যাহার তেজস্বরূপ, এই প্রকাণ্ড অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড র্যাহার । দেহস্বরূপ, র্যাহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমুদায় ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম, তিনিই অষ্টপ্রহরই তাহার প্রহরী থাকেন, স্থতরাং জগতে এমন দস্থ্য কে আছে যে তাহ অপহরণ করিবে ? এখানে দিবসত্রয় অম্বুরাশিতে ভাসমান থাকিয়া চতুর্থ দিবসে বেলাবসান সময়ে, বসন্ত স্বীয় অগ্রজ, অরুণবীৰ্য্য নামধারী শ্বেতের রাজধানী রত্নগঞ্জের নূ্যনাধিক একক্রোশ অন্তরে একটি স্থানে আসিয়া, সেই অবলম্বিত বালিসসহ তটিনীতটে সংলগ্ন হইলেন। তখন তাহার এতাদৃশ দুরবস্থা ঘটিয়াছিল যে, অঙ্গসঞ্চালন