পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ মুলোচনা কাব্য । রাজ অরুণবীৰ্য্য সম্পূহনয়নে সভাসীন ব্যক্তিগণের দিকে বারম্বার নেত্রপাত করিতে লাগিলেন। তৎকালে তিনি এরূপ চলচিত্ত হইয়াছিলেন যে, বিবেকশক্তি এককালে রহিত হইয়া গিয়াছিল। এই নিমিত্ত স্বয়ং উত্তরদানে অগ্রসর না হইয়া, সভ্যদিগের দ্বারা তদুত্তর প্রাপ্তির আশয়ে একবার বসন্তের প্রতি আর একবার সভাস্থ ব্যক্তিদিগের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। সভাস্থ বিচক্ষণ ব্যক্তি মাত্রেই, বসন্তের প্রশান্ত প্রকৃতি, মাধুর্য্য ভাব, ও গম্ভীরস্বভাব অবলোকনে এবং বিনয়নম্র বচনে ইতিপূর্বেই স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন যে, ইনি নিশ্চয়ই সুপণ্ডিত হইবেন । অধুনা মহারাজের ঐরূপ নিরুত্তরাবস্থানে, আর অনিমিস নয়নে দীনতার সহিত সতৃষ্ণ নেত্রপাতে, তাহাদের অন্তঃকরণে ইহাই উদিত হইল যে, মহারাজের অভিলাষ যে, তাহদের কর্তৃক উত্তর প্রদান তুসম্পন্ন হউক। কিন্তু সেই সভাস্থিত কয়েকজন ঈর্ষ্যাপরবশ যাজকের ও কয়েকটি আত্মাভিমানী দাম্ভিক অধ্যাপকের বিরক্তিভাব প্রকাশ পাইতে লাগিল । সভার আর আর সকলে একবাক্যে কৌতুহলচিত্তে আগস্তুক ব্যক্তিকে ব্রতের কথা বলিবার নিমিত্ত অনুরোধ