পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । y כף এভাবে থাকিতে হইবে না, ব্রতের কথার শেষ হইলেই সংশয় শেষ ও দুঃখ শেষ হইবে।

  • বসন্ত, রাজনন্দিনীর পটমণ্ডপের সমীপস্থ বেদীর উপরিভাগে উপবিষ্ট হইয়া আচমন করণানন্তর নাতি উচ্চ, নাতি মৃদুস্বরে ব্রতের কথারম্ভ করিলেন, এই কথা আর কিছুই নহে কেবল বসন্তের জীবনচরিত মাত্র। পাঠক মহাশয়েরা তাহার সমস্তই জানিয়াছেন সুতরাং আর পুনর্বার উল্লেখের প্রয়োজন বোধ হইল না। সেই জীবন বৃত্তান্ত শ্রবণে সভাসীন ব্যক্তিগণের মধ্যে অনেকেই উপন্যাস মনে করিয়া উপহাস আরম্ভ করিলেন । কিন্তু সেই বসন্তের পিতা, মহারাজ বীরজিৎ সিংহ উপস্থিত ছিলেন, তাহার ও অধুনা অরুণবীর্য্য নামধেয় শ্বেতের মুখ স্নান, নয়নদ্বয় ছল ছল হইয়া ক্রমশ শোকসিন্ধু উদ্বেল হইয়া উঠিল। যে সময়ে বসন্তের মুখ হইতে বিমাতৃ ষড়যন্ত্রে পিতাকর্তৃক জীবন দণ্ডের কথা বিনিগত হইল, তৎকালে বীরজিৎসিংহ একবারে অধৈর্য্য হইয়া উচ্ছলিত শোকাবেগ সংবরণে অসমর্থ হইয়া প্রবলবেগে বাষ্পবারি বিসর্জন করিতে লাগিলেন । যে সময়ে শ্বেত, শ্বেতহস্তী আক্রান্ত ও