পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । ᎼᏏ Ꮌ অধিকতর ক্লেশ উপস্থিত হইয়াছিল তাহা বলা বাহুল্য মাত্র । বসন্তের জীবন বৃত্তান্ত শ্রবণে লোকের মনে কখন ভয়, কখন বিস্ময়, কখন শোক, কখন দুঃখ, কখন বিদ্বেষ, কখন জীবনাশা পরিত্যাগের আক্ষেপ ইত্যাদি নানাপ্রকার ভাবোদয় হইয়াছিল। যে সময়ে শ্বেত সাধারণ সমীক্ষে পরিচয় পরিজ্ঞাত হইলেন যে, অলোক সামান্য রূপলাবণ্যবতী নৃপছহিত তাহার ভ্রাতৃবধু, তখন তিনি একান্ত ক্ষুব্ধচিত্তে পরমেশ্বরকে অগণ্য ধন্যবাদ দিয়া কহিলেন ভগবান আমায় রক্ষা করিয়াছেন ; নচেৎ আমি নিশ্চয়ই দূরপনেয় পাপপঙ্কে নিপতিত হইতাম। আমি ইতিপূর্বে ইহার বিন্দু বিসর্গও জানিতে পারি নাই। অবশেষে অনুতপ্ত হৃদয়ে জগদ্দুলভ শ্রেষ্ঠির কৰ্ম্মানুরূপ প্রতিফল প্রদানে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। কথার শেষভাগে, যখন সেই শ্মশ্রীধারী কৃশাঙ্গ নবীন পুরুষ বসন্ত বলিয়া স্থিরীকৃত হইল, সেই সময়ে আর কোন ব্যাপারই কাহার অগোচর রহিল না । অরুণবীৰ্য্য আর মহারাজ বীরজিৎ উভয়ে আসিয়া যুগপৎ বসন্তকে আলিঙ্গন করিলেন। পরে বহুকালের পর পুত্রদ্বয়কে প্রাপ্ত হইয়া মহারাজ বীরজিৎ সিংহ २8