পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
সুলোচনা কাব্য।

হইয়া দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগপূর্ব্বক, কহিতে লাগিলেন, হা প্রিয়সি! হা প্রাণপ্রিয়তমে! হা লোচনানন্দদায়িকে! হা হৃৎপথপ্রকাশিনি! হা সর্ব্বসন্তাপনাশিনি! হা জীবিতেশ্বরি! হা সুহাস্যবদনি! হা কুরঙ্গনয়নি! তুমি এ হতভাগ্যকে, এ নরাধমকে, এ পাপাত্মাকে পরিত্যাগ করিলে কেন? আমি এমন কি অপরাধ করিয়াছি যে, আর জন্মাবচ্ছিন্নে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারিব না? তোমার সহিত আর বাক্যালাপ হইবে না? তোমার সহিত আর একত্রে অবস্থান করিতে পাইব না? তুমি সেই অসামান্য স্নেহ, দয়া ও মমতা কিরূপে বিস্মৃত হইলে? যদি আমার কোন দোষ হইয়া থাকে ক্ষমা করিয়া একবার দেখা দাও; তোমার অদর্শনে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইবার উপক্রম হইয়াছে, তুমি কোথা গিয়া নিশ্চিন্তভাবে অবস্থিতি করিতেছ, এই তোমার প্রতিমা নিষ্পন্দভাবে আমার নেত্রপথে পতিত রহিয়াছে; কৈ ওত আমার হৃদয় শীতল করিতে পারিতেছে না। আমার এই হৃদয়বিদারক কাতরধ্বনি শুনিয়াও কি তোমার করুণার উদয় হইতেছে না? তুমিত এত নির্দ্দয়, এমন পাষাণহৃদয়, এরূপ নির্ম্মম ছিলেনা; তুমি যে কখন