পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
২৫

তাদৃশী দশা দর্শনে একান্ত খিদ্যমান হইলেন; দশদিক অন্ধকারময় অনুভূত হইতে লাগিল; যেমন পূর্ণচন্দ্র ঘনঘটায় আচ্ছাদিত হইলে পৃথিবী তিমিরাবৃত হয়, নরপতি মহিষীর মুখশশী ম্লান দেখিয়া তদবস্থাপন্ন হইলেন। তিনি ক্ষণকাল নিস্তব্ধভাবে অবস্থিতির পর, নানাপ্রকার সান্ত্বনা বাক্য প্রয়োগপূর্ব্বক, কথঞ্চিৎ রাজ্ঞীর মনঃ স্থির করিয়া নিতান্ত ব্যগ্রতার সহিত ভাবান্তরের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। রাজমহিষী, প্রাণবল্লভের ব্যাকুলতা ও নির্ব্বন্ধতা দর্শনে, আর ক্ষান্ত থাকিতে না পারিয়া, সরলভাবে মহারাজের গোচরে বিষণ্ণতার কারণ ব্যক্ত করিলেন। বীরজিৎ এইরূপে লাবণ্যময়ীর মনোদুঃখের বৃত্তান্ত শ্রবণগোচর করিয়া আশ্বাসিতবাক্যে তাঁহাকে প্রবোধ প্রদানপূর্ব্বক অন্তঃপুর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। কিন্তু অনেক চিন্তা ও বিবেচনার পর সেই প্রদীপ্ত অন্তরাগ্নি নির্ব্বাণের উপায়ান্তর নাই দেখিয়া, পুরস্ত্রীগণকে সাবধান করিয়া দিলেন যে, তাহারা কোনরূপ আর অপুত্ত্রতার দোষ কীর্ত্তন করিয়া কোন কথার আন্দোলন না করে। এইরূপে ভূপেন্দ্র রাজ্ঞীর চিত্তের স্থৈর্য্য সম্পাদন করিয়া, স্বয়ং নিশ্চিন্তভাবে সুস্থমনে পূর্ব্বভাবে কালাতিপাত