পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
সুলোচনা কাব্য।

কাহারও দ্বারা কোন প্রকার সদুপায় হইবার সম্ভাবনা থাকে না। সুতরাং বীরজীৎ সিংহ সে সময়ে মন্ত্রণা করিতে কি বুদ্ধিস্থির করিয়া বিবেচনা করিতে অবকাশ প্রাপ্ত হইলেন না; তাহাতে তাহার কোন প্রতিবিধান না হওয়াতে বিষম অনর্থ সংঘটন হইয়া উঠিল। পূর্ব্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে যে, পালিত মার্জ্জার লাবণ্যময়ীর দুরভিসন্ধি সাধন সময়ে প্রধান উপকরণ হইয়া উঠিবে। এক্ষণে পাঠক মহাশয়েরা দেখুন, সত্যই তাহাই ঘটিল। শ্বেত ও বসন্ত, চিরদিনই বিমাতার সহিত এক শর্য্যায় শয়ন করিত, রাজ্ঞী স্বীয় পালিত মার্জ্জারটিকেও আপন সমীপে সেই শয্যাতেই শয়ন করাইতেন; রেবতীর পরামর্শ ক্রমে সে রাত্রিতে ঐ মার্জ্জারকে বক্ষঃস্থলে স্থাপনপূর্ব্বক রাজমহিষী কপট নিদ্রায় অবিভূত হইলেন। রাজকুমারদ্বয়, সপত্নীমাতার উভয় পার্শ্বে শয়ন করিয়া নিশ্চিন্ত ভাবে নিদ্রিত হইল। লাবণ্যময়ী কিছুকাল নিস্তব্ধ ভাবে থাকিয়া, অতি সতর্কতার সহিত শ্বেত ও বসন্তের সুষুপ্তির পরিচয় পাইয়া স্বীয় অভীষ্ট সাধনের উদ্যোগ আরম্ভ করিলেন। ঐ পোষিত মার্জ্জারটিও এতক্ষণ রাণীর হৃদয়স্থিত হইয়া সুখে নিদ্রা