পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
সুলোচনা কাব্য।

পালন করিয়া আসিতেছি, এক দিন এক ক্ষণের জন্যেও বিদ্বেষ বা বিরক্তিভাব প্রকাশ করি নাই। যাহা হউক আমি যেমন তাশা করিয়া ছিলাম যে, অচিরাৎ শ্বেতের বিবাহ দিয়া নব বধূর সহিত সংসারসুখ ভোগে মজিব, তাহার উপযুক্ত প্রতি ফলই প্রাপ্ত হইলাম। আমার ইচ্ছা থাকিলে কি হয়, বিধাতার বিড়ম্বনা কে খণ্ডন করিবে?

 বীরজিৎ সিংহ, নব প্রণয়িণীর কাপট্যজালে পতিত হইয়া, আর সম্ভব অসম্ভব বিবেচনা না করিয়া একেবারে ক্রোধে কম্পান্বিত কলেবর হইয়া কহিতে লাগিলেন; কি! এতবড় আস্পর্দ্ধা! এত বিদ্বেষ! এরূপ নির্দ্দয়তা, এত নিষ্ঠুর ব্যবহার। কি পাষণ্ড; এমন পামর যে, অকারণে জীবন বিনাশে উদ্যত? কি আশ্চর্য্য! আমি আর একুলাঙ্গারদিগের মায়ায় মুগ্ধ থাকিব না; আমি এখনই অপত্যস্নেহে জলাঞ্জলী দিয়া উহাদিগের মস্তক চ্ছেদন করিব। দাসি! আর এ রাগ সহ্য হয় না, শীঘ্র খড়্গ আনয়ন কর, আর বিলম্বের প্রয়োজন নাই; কি জানি কাল বিলম্বে যদি বৈরনির্য্যাতন সংঙ্কল্প বিদূরিত হইয়া স্নেহরস সঞ্চারিত হইয়া মূঢ় দিগের ধংসের