シ。 সুশীলাচন্দ্রকেতু । অনন্তর রাজা চন্দ্রকেতুকে লক্টয়া মন্ত্রীর সহিত রাজ, ভবনে প্রবেশ করিলেন এবং ভৃত্যগণকে কুমারের অবস্থোচিত সেবা করিতে আদেশ করিলেন । ক্রমে সন্ধ্যা উপস্থিত হইল। রাজল মিত্ৰপুত্রকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, বৎস! আজি তোমার শরীর অত্যন্ত ক্লিষ্ট আছে, আর অধিক কষ্ট দিই না, কিঞ্চিৎ ভোজন করিয়ণ শয়ন কর । চন্দ্রকেতু যথাশক্তি সন্ধ্যাকাৰ্য সমাপনন্তে যৎকিঞ্চিৎ ভক্ষণ করিয়া শয়ন ভবনে গমন করিলেন, এবং শকটীয় শয়ান হইয়াই গঢ় নিদ্রায় নিমগ্ন হইলেন। পর—এমন প্রাতে গাত্রোথান করিয়া প্রাতঃস্কৃত্য সমাপনান্তর বসিয়া আছেন, শষ্টশীল উপস্থিত হইয়শ জিজ্ঞাসা করিলেন, বাছা! শরীরের গ্লানি কিঞ্চিৎ অপমীত হইয়াছে ? চন্দ্রকেতু পিতৃমিত্রের চরণে প্রণতিপূৰ্ব্বক উত্তর করিলেন, পিতঃ ! অদ্য আপনার প্রসাদে পুনর্জন্ম লাভ করিয়াছি, তাপনার এ গুণ কখনই পরিশোধ করিতে পারিব না ; তাত জনক জননীকে দেখিতে আমার মন নিতান্ত উৎকণ্ঠিত “ হইতেছে ; শীঘ্র আমাকে বিদায় দিবেন । শান্তশীল বলিলেন, বাছ ? তোমার জনক জমনী কেমন আছেন, এবং কি সাহসে এত অল্প বয়সে তোমাকে একাকী দিগ্বিজয়ে পাঠইয়াছেন ? চন্দ্রকেতু সবিনয়ে কহিলেন, তাত ! সপত্নপরাজয় ক্ষত্ৰিয়দিগের পরম ধৰ্ম্ম, ইহাতে যে পরায়ুখ হইলে ক্ষত্র নামে কলষ্ট হইবে । আপনাদের
