পাতা:সুশীলাচন্দ্রকেতু.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి. t. সুশীলাচন্দ্রকেতু । করিতেছি না, প্রকৃত বলিতেছি তোদের পরস্পর মেলন হইলে বিধাতার উভয়ের রূপবিধানে যত্ব সার্থক হয় । বোধ করি প্রজাপতি সেই উদ্দেশেই তোদের দুজনকে এরূপ অলৌকিক রূপসম্পন্ন করিয়াছেন । সুশীল। বলিয়া উঠিলেন সখি, আর কৌতুকে প্রয়োজন নাই, তুই রাজকুমারকে ক্ষণ কাল দেখতেও দিবি না ? চিত্ৰলেখা কহিল, সখি ! রাজতনয় সুস্থশরীর থাকিলে এখনই তোকে উইণর কোলে বসাষ্টয়া আসিতাম। বলিব কি, তোর কপাল ভাল —মড়কেতু পীড়িত আছেন । সুশীল ক্রোধাভরে উত্তর করিলেন, পোড়ায়মুখি, যা মুখে আসছে তাই • বপূর্তে আরম্ভ করেছিল। আমি আর এখানে তোর কাছে থাকিব না, মায়ের কাছে গিয়া তোর সব কথা বলিয়া দি । চিত্ৰলেখা বলিল সখি ! রাগ করিস্ কেন ? ভয় কি ? এখানেত অণর কেউ নাই । আমার কাছে বলিতে লজ্জা কি ? ভয় নাই প্রকাশ করিব না, সখি সত্য করে “ বল দেখি, রাজকুমারকে দেখিয়া তোর অন্তঃকরণ কি প্রমুদিত হইতেছে না ? সুশীল) পুনৰ্ব্বার সক্রোধে রলিয় উঠলেন, সখি! যা, যা, আর জ্বালাস নে, তোর আমার সঙ্গে আর কথা কইতে হবে না,তোর ওসব রঙ্গের কথা অপমার ভাল লাগে না ; যাই অন্তঃপুরে মায়ের কাছে যাই । রাজবালা তথাপি - শালীনতা প্রযুক্ত মনের ভাব বক্ত করিতে পারিলেন না,