পাতা:সুশীলার উপাখ্যান.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশীলার উপাখ্যান । \ e No করিয়া ভঁাহার জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনা করিলেন, পরে শাসনকৰ্ত্তার নিয়োগ-পত্ৰখানি উtহার হস্তে দিলেন । সামান্য কেরাণী থাকিয়৷ একেবারে ডেপুটিমাজিষ্টর “হওয়াতে চন্দ্রকুমারের আনন্দের আর ইয়ত্ত রহিল ন, অজস্র আনন্দীগ্র উহার নয়নযুগলে পতিত হইতে লাগিল, বিস্ময়াপন্ন হইয়া তিনি একেবারে বাক্যরস্থিত হইলেন । কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি প্রকৃতিস্থ হইয়া জজসাহেব এবং তৎপত্নীকে সহস্র ২ নমস্কার করিলেন, আর এতাদৃশ বিষয়ে বিনয় ব্যবহারদ্বারা যেরূপ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে হয়, তিনি তাহা করিলেন । সে দিনত এইরূপে গেল, বিচারক মহাশয় মিষ্ট-সম্ভাষণে উহাকে বিদায় করিলে, চন্দ্রকুমার বাবু ঘরে গিয় -প্রাণপ্রিয়। সুশীলাকে সকল কথা শুনাইলেন । ইহাতে পতি পত্নী উভয়ে যে কত আনন্দ্র করিতে লাগিলেন, তাহা বর্ণনা করা দুষ্কর । সুশীল ও চন্দ্রকুমার জ্ঞাতি কুটুম্ব আত্মীয় বন্ধুর নিকট এই সুসংবাদ লিখিয়া পাঠাইলেন, তাহাতে বিজয়নগুরের সর্বস্থানে ক্রমে এ বিষয় প্রচারিত হইল । সজ্জন বলিয়া সকলেই দত্ত পরিবা রের মঙ্গলাকাভূক্ষী ছিল, 'এই মুঘটনাতে সকলেই পরস্পর আনন্দ করিতে লাগিল । জজ সাহেব পরদিন প্রাতরাশের পর রেলওয়ে দ্বারা ধৰ্ম্মপুর জিলার মাজিক্টরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেন, পরস্পর যথানিয়মে অভিবাদনাদি করিয়৷ পরে চন্দ্রকুমারের কথা ফেলিলেন । মনজিষ্টর সাহেব কহিলেন, আমি এডপুটি গবর্ণরের পত্ৰ পাইয়াছি, কল্য প্রাতঃকালে আপনকার নিকট যাইতাম, আসিয়াছেন ভা-'