পাতা:সুসন্তান লাভের উপায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুসন্তান লাভের উপায় । >Q যেখানে বসাইয়া রাথিত, সেইখুনে বসিয়া থাকিত ; তাহার মুখে সৰ্ব্বদ হাসি দেখা যাইত ।” আমরা আয়ুৰ্ব্বেদ-শাস্ত্রের ও আর্য্য মহর্ষিগণের ব্যবস্থা ও উপদেশগুলি বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করার পূৰ্ব্বে, কিরূপে গর্ভ সঞ্চার হয়, ঋতু কি, গর্ভাধানের কাল ইত্যাদি বিষয়গুলি সম্বন্ধে পাশ্চাত্য পণ্ডিতদিগের মত নিম্নে উদ্ধত করিলাম। যথা – রমণীগণের জরাযুর (ইহাকে ডাক্তারি শাস্ত্রে ইউট্রাস বলে ) দুই ধারে নিম্ন উদরের দুই পার্শ্বে দুইটি ডিম্বকোষ আছে। ঐ কোষে অসংখ্য অতি ক্ষুদ্রতম ডিম্ব থাকে। এই ডিম্বকোষকে ডাক্তারি শাস্ত্রে ওভেরি ও ডিম্বকে ওভাম বলে। প্রত্যেক মাসের ঋতুর সময় ঐ ডিম্বকোষ হইতে একটি ডিম্ব সুপক্কতা লাভ করে এবং ডিম্ব ফাটিয়া একটি নল দ্বার। । এই নলকে ডাক্তারি শাস্ত্রে ফেলোপিয়ান টিউব বলে ) জরাযুতে আইসে। এই ডিম্ব অতি ক্ষুদ্র, ইহার ব্যাস প্রায় ইঞ্চি হইবে । ইহা দেখিতে গোলাকার, ইহার একটি স্বচ্ছ অবিরণ অাছে । এই আবরণের মধ্যে হরিতাভ তরল পদার্থ থাকে। এই রূপ পুরুষের শুক্রেও অসংখ্য শুক্র কীট থাকে। ঐ শুক্র কীটগুলিও অতি ক্ষুদ্র । অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বার। দেখিলে ঐ শুক্র কীটগুলিকে এক একটি বেঙ্গাচার মত দেখা যায় এবং ইহারা গতিশীল । উপযুক্ত সময়ে জরায়ুক্ষেত্রে উভয়ের ( এই ডিম্ব ও শুক্রের ) সংযোগ হইলেই গর্ভ সঞ্চfর হয় । এই গর্ভই দিন দিন মাসে মাসে বদ্ধিত ও রূপান্তরিত হইয়া উপযুক্ত সময়ে (গর্ভকাল গড় পড়তায় ২৭৮ দিন ধরা হইয়ছে ) একটি স্বাধীন মানুষ জন্ম গ্রহণ করে । দয়াময় ঈশ্বর এই শুক্রকীট ও ডিম্ব অতি আশ্চৰ্য্য উপায়ে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । এই অতি সূক্ষ্মতম ডিম্ব ও শুক্র কীটে কি প্রকারে নর-নারীর ( পিতা-মাতার ) আকৃতি, প্রকৃতি, স্বভাব, চরিত্র, অঙ্গবিকৃতি, পীড়ীর বীজ, ধৰ্ম্মভাব, স্যায়নিষ্ঠা, সত্যপ্রিয়ত, আচার, ব্যবহার, অপর দিকে মিথ্য, প্রবঞ্চন, জাল, জুয়াচুরী, বদমায়েসী প্রভৃতি প্রবৃত্তিগুলির বীজ লুক্কায়িত থাকে, তাহ - চিন্তা করিলেও বিস্ময়-সাগরে নিমগ্ন হইতে হয় । . আয়ুৰ্ব্বেদ-শাস্ত্রে গর্ভধারণের কাল ১ অহোরাত্র নির্দেশ রহিয়াছে। ডাক্তারি শাস্ত্রে এ সম্বন্ধে নানা মতভেদ থাকিলেও, ঋতুকালের ১৪ দিবস পৰ্য্যস্ত জরায়ুতে ডিম্ব অবস্থান করে বলিয়া বহু পাশ্চাত্য পণ্ডিতই উল্লেখ করিয়াছেন। প্রতি মাসে জরায়ুর