পাতা:সেঁজুতি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সেঁজুতি
তীর্থযাত্রিণী


তীর্থের যাত্রিণী ও যে, জীবনের পথে
শেষ আধক্রোশটুকু টেনে টেনে চলে কোনোমতে।
হাতে নাম-জপ ঝুলি,
পাশে তার রয়েছে পুঁটুলি।
ভোর হতে ধৈর্য ধরি’ বসি’ ইস্টেশনে
অস্পষ্ট ভাবনা আসে মনে,
আর কোনো ইস্টেশনে আছে যেন আর কোনো ঠাঁই,
যেথা সব ব্যর্থতাই
আপনায়
হারানো অর্ঘ্যেরে ফিরে পায়,
যেথা গিয়ে ছায়া
কোনো এক রূপ ধরি’ পায় যেন কোনো এক কায়া।
বুকের ভিতরে ওর পিছু হতে দেয় দোল,
আশৈশব-পরিচিত দূর সংসারের কলরোল।
প্রত্যাখ্যাত জীবনের প্রতিহত আশা,
অজানার নিরুদ্দেশে প্রদোষে খুঁজিতে চলে বাসা।

৩১