পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়া উৎসব লাঠিয়াল ও সর্দারেরা সরকার-বাড়ীর নিমকের অপমান করতে সম্মত হোলো না । তারা সবাই এক-জোট হ’য়ে প্ৰতিজ্ঞা করল, জামীদারের মান বঁাচাবার জন্য তারা প্ৰাণ দেবে । পরদিন বিজয়ার বাজনা বেজে উঠল । সৰ্ব্বানন্দের বাড়ীতে লাঠিয়াল সব সেজে দাড়াল। এদিকে জমীদারবাড়ীতেও দলে দলে শিক্ষিত লাঠিয়াল আর সর্দার এসে জুটুল। গোপীবাবু আমাকে আর রাধাবল্লভকে ডেকে বললেন, “তোমরা আজ ভাসান দেখতে যে ও না । কি হবে, তা বলা যায় না । আজ হয় তা মানুষের রক্তে মায়ের প্ৰতিমাকে স্নান করাতে হবে ; হয় তা সেই রক্তের ধারার মধ্যেই রথতিলাতেই মায়ের বিজয়া হবে, আর সঙ্গে সঙ্গে সরকার-বাড়ীরও অস্তিত্ব লোপ হবে । আমাকে এবার মায়ের প্রতিমার আগে আগে যেতে হবে । আজ দেখিয়ে দেব, গোপী সরকার বৃদ্ধ হয়েছে বটে, কিন্তু এখনও লাঠি হাতে ক’রে দাড়ালে পঞ্চাশ জন লাঠিয়ালের মহড়া নিতে পারে। তোমরা যে ও না বাবা আজ !” তার কাছে স্বীকার করলেও আমরা এই শোভাযাত্রায় না গিয়ে পারলাম না ; বাপের বেটা রাধাবল্লভ ও মালকেঁচা কাপড় পরে লাঠি হাতে ক’রে শোভাযাত্রার পিছনে (3