পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা তার ইস্তিৱী যে এখান থেকে আর ঘরে ফিরে যায় নি। বাবুজি ।” সেই দুপুর রৌদ্রের মধ্যে গাছতলায় ব’সে এই কাহিনী শুনতে শুনতে আমি দেশ-কাল ভুলে গিয়েছিলাম । আমি তখন যেন স্পষ্ট শুনতে পেয়েছিলাম। তৃষ্ণকাতর মহেশের মৰ্ম্মভেদী আৰ্ত্তনাদ ; দেখতে পেয়েছিলাম সতী লক্ষ্মী হরিমতির অসহায় মূখ। আর এতদিন পরেও আজ। আপনাদের কাছে সেই ভাতারি-মারীর মাঠের করুণ কাহিনী বলবার সময় সেই দৃশ্যই আমার চোখেব সুমুখে ভেসে উঠছে—সেই মহেশের প্রাণপণ আৰ্ত্তনাদ।-- জল ! জল! একটু জল ! অনেক কাল আগে কারবালার প্ৰান্তরে একদিন এমনই ভাবে জল, জল, একবিন্দু জল ব’লে হৃদয়ভেদী আৰ্ত্তনাদ উঠেছিল ;-আর এই নির্জন প্ৰান্তরের মধ্যে-এই ভাতারি-মারীর মাঠেও একদিন সেই কাতর ধ্বনি “জল, জল একবিন্দু জল’ মহেশের মুখ থেকে শেষ উচ্চারিত হয়েছিল । কারবালা জগতের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে,--আর এই ভাতারি-মারীর মাঠে মহেশের প্রাণ-দানের কথা-সতী-সাধৰী হরিমতির স্বামীর বুকের উপর। প্ৰাণ-ত্যাগের কাহিনী সেই ভাতারমারীর মাঠের মধ্যে হায় হায় ক’রে প্রতিধ্বনিত হচ্চে { tra