পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ -8 ) হইত, ভিড়ের মধ্য ভেদ করিয়া প্রবেশ করিতে হইলে প্রাধাত্ত হইত, তৎকালে যদিও অন্যান্য দল ছিল কিন্তু হৰু ঠাকুর, নিতাই দাস, এবং ভবানী বণিক এই তিন জনের দল সর্বাপেক্ষা প্রধান রূপে গণ্য ছিল । এই নিত্যানদের গোড়া কত ছিল তাহার সংখ্যা করা যায় না । কুমারহট্ট, ভাটপাড়া, ত্রিবেণী, বালী, ফরাশডাঙ্গা, চুঁচুড়া প্রভৃতি নিকটস্থ ও দূরস্থ সমস্ত গ্রামের প্রায় সমস্ত ভদ্র ও অভদ্র লোক নিতায়ের নামে ও ভাবে গদ গদ হইতেন । নিতাই দাস জয়লাভ করিলে ইহঁারা যেন ইন্দ্রত্ন পাইতেন । পরাজয় হইলে পরিতাপের সীমা থাকিত না ! যেন হতসৰ্ব্বস্ব হইতেন এমনি জ্ঞান করিতেন । অনেকের অাহার নিদ্রা রহিত হইত। কত স্থানে কত বার গোড়ায় গোড়ায় লাঠালাষ্ঠী কাটাকাটি হইয়া গিয়াছে। অন্যে পরে কী কথা, ভাটপাড়ার ঠাকুর মহাশয়ের নিত্যানন্দকে ‘নিত্যানন্দ প্রভু বলিয়া সম্বোধন করিতেন । ইহঁার গাহনার . প্রাক্কালে প্রভু উঠেছেন বলিয়াই গোড়ার ঢল ঢল হইত। নিতায়ের এই এক প্রধাণ গুণ ছিল যে ভদ্রাভদ্র তাবল্লোককেই সমভাবে সন্তুষ্ট করিতে পারিতেন ।” কবিওয়ালাদিগের এক একটী কবিতা এমন যে শুনিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয় । হৰু ঠাকুরের একটা কবিতাতে এই রূপ উক্তি দেখা যায়— “নাম প্রেম তার, সাকার নহে, বস্তুট সে নিরাকার, জীবন, যে বন, ধন কিবা মন, প্রাণ বশীভুত তার। মুখে লোক বলয়ে পিরিতি সুখের সার ; প্রাণের বাছিরও হয় সে যখন জীবনে যেন মরে রই ॥”