পাতা:সেক্‌সপিয়র কৃত গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত অপূর্ব্বোপাখ্যান.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কর্কশার ধীরতা।
১৩৭

প্রস্তাবে অমত বা বিতণ্ডা করণে তাহার কদাপি প্রবৃত্তি না হয় অতএব কামিনীর বেলার কথায় আপনি যেন দিবাকরের কর্ত্তা এবম্বিধ ভঙ্গি করত কহিলেন যত ইচ্ছা করিব যাত্রার অগ্রে তাবন্মাত্র বেলা হইবে, আমি যাহা বলি ও করি এখনও তাহা খণ্ডন করিতেছ, এই ক্ষণেই তথায় গমন করিব যাত্রাকালীন যত দণ্ড দিবামান কহিব তাহাই হইবেক। কেথারিন্ এক দিন আপনার প্রাক্তন প্রকৃতির দমন পূর্ব্বক নবপ্রকাশিত শান্ত স্বভাবের আচরণ করিয়াছিলেন কিন্তু যাবৎ তদীয় গর্ব্ব সম্পূর্ণ রূপে খর্ব্বতাপন্ন না হইল এবং সকল কথায় বাদ বিতণ্ডা করণাভ্যাস বিস্মৃতা না হইলেন তাবৎ পর্য্যন্ত পেত্রুসিও তাঁহাকে পিত্রালয়ে প্রেরণ করেন নাই। পরে যখন আপনি সমভিব্যাহারে লইয়া গমন করিলেন তখন পথিমধ্যে দিবা দ্বিপ্রহরের সময় প্রিয়াকে সম্বোধন করত কহিলেন সুন্দরি অবলোকন কর নিশাকর আকাশ মণ্ডলে উদিত হইয়া কেমন স্নিগ্ধ উজ্জ্বল প্রভা বিতরণ করিতেছেন। কেথারিন্ এ কথায় কান্তকে কহিলেন সে কি এখন যে দিবস, দিবাকর প্রখর করে অবনির রসাকর্ষণ করিতেছেন। পেত্রুসিও পত্নীর এই প্রকৃত উক্তিতেও কোপ প্রকাশ করিলেন এবং তাঁহার এই প্রাতিকূল্যাচরণাপরাধে তদীয় পিত্রালয় গমনে বিরতি অবলম্বন পূর্ব্বক আপন ভবনের প্রতি প্রতিনিবৃত্ত হইতে উদ্যত হইয়া কহিলেন কি আমার বাক্যে অন্যথা আশঙ্কা কর আমি আত্ম শপথ করিয়া বলিতেছি তোমার পিতৃ নিলয়ে গমনের অগ্রে চন্দ্র অথবা নক্ষত্র যাহা কহিব তাহাই হইবেক। অনন্তর এরূপ ভঙ্গি করিলেন যেন সদনে প্রত্যাগমন করেন তাহাতে কান্তা কেথারিন্ কর্কশ স্বভাব পরিহার পুরঃসর সুশীলা মহিলার তুল্য হইয়া সবিনয়ে নিবেদন করিলেন প্রভো অধিক পথ আসিয়াছি এখন এখান হইতে নিবৃত্ত হওয়া কর্ত্তব্য হয় না আমি করপুটে বিনয় করিতেছি চলুন অগ্রসর হই আপনি নভোমণ্ডলো-