পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম অধ্যায়। ] চরিত্র ২৩৭ সাধারণ রীতি এই, যে, যাহারা “আজন্মশুদ্ধ”, লোকে তঁহাদিগকেই প্ৰশংসা করে, পূজা করে, ভক্তির অঞ্জলি দিয়া বরণ করে ; কিন্তু যাহারা সিদ্ধ হইয়া জন্মগ্রহণ করেন নাই, র্যাহারা বিষম সংগ্রামে রক্তাক্ত কলেবর হইয়া। তবে আত্মজয়ী হইয়াছেন, অকপট প্রীতি ও শ্রদ্ধার অর্ঘ্য কি বাস্তবিক র্তাহাদিগেরই অধিকতর প্রাপ্য নহোঁ ? তাহা যদি না হইবে, তবে পাপীর নবজীবন লাভের বার্তা শুনিয়া আমাদিগের হৃদয় এমন করিয়া গালিয়া যায় কেন ? “ঘোর পাপী ওমর পল জগাই মাধাইর” জীবন কাহিনী পড়িয়া সরলপ্ৰাণ ধৰ্ম্মপিপাসু লোকে এখনও অশ্রুপাত করে কেন ? এ প্রশ্নের উত্তর এই, যে, আমাদিগের অন্তরের নিভৃততম প্রদেশে একটী ভাব লুক্কায়িত আছে, সকল সময়ে আমরা উহা লক্ষ্য করি না বটে, কিন্তু উচ্ছা! আমাদিগের চিত্তের উপরে বিলক্ষণ কাৰ্য্য করে । সেই ভাবটীকে আমরা দুই এক কথায় প্ৰকাশ করিতে চাই । আমরা যাহাদিগকে SDYYBS DBBD DBDDBSDBBBBD KDBD BDBBDB YD S DBDBDD করি ; কিন্তু যাহারা রিপুর সহিত দিবানিশি দুরন্ত যুদ্ধ করিয়া পরে স্থির ভূমি প্ৰাপ্ত হইয়াছেন, আমাদিগেব। অন্তর বলিয়া দেয়, যে তাহারা আমাদিগের সহোদর ও সতীর্থ, সুতরাং তাহাদিগের সহিত আমাদিগের হৃদয়ের যোগ স্থাপিত হইতে বিলম্ব হয় না। শুধু তাঁহাই নহে। একটু নিবিষ্ট আন্তঃকরণে মনন করিলেই আমরা বুঝিতে পারি, যে যাহার পথ সরল, সহজ ও সমতল, তিনি যদি গন্তব্য স্থানে উপনীত হন, তবে তাহাতে বিস্মিত হইবার কিছুই নাই ; কিন্তু যাহাকে উচ্চাবচ ও বন্ধুর ভূ অতিক্ৰম কবিয়া ও পদে পদে চরণতলে কণ্টক দলিয়া অভীষ্ট লোকে পহুছিতে হয়, লক্ষ্যসিদ্ধির গৌরব তাহারই অধিক, কেন না, তাহাতেই আমরা পুরুষকারের প্রকৃত পরিচয় প্রাপ্ত হই। অন্তরায়ের পরাভাবেই যথার্থ বীরত্ব প্ৰকাশিত হয়। মহাজনগণের জীবনচরিতও ইহাই বলিতেছে। শাক্যসিংহ মারকে বিধ্বস্ত করিয়া বোধিদ্রুমমূলে বুদ্ধত্ব লাভ করিয়াছিলেন; ঈশা জনমানবহীন প্ৰান্তরে সয়তানের প্রলোভনসমূহ জয় করিয়া পরিাত্ৰাণের বার্তা প্রচার করিবার অধিকারী হইয়াছিলেন। যে সংগ্ৰাম হইতে এই দুই জগৎপূজ্য মহাপুরুষও নিষ্কৃতি পান নাই, সোক্রোটসের জীবনে