R 6ਸਸ . (ভূমিকা প্ৰতিষ্ঠভূমিরূপে আতি প্ৰাচীনকালে ইয়ুরোপে তিনটী মৌলিক জাতি /বঙ্গানান ছিল / কিন্তু এই আলোচনায় প্রবেশ করিবার পুৰ্ব্বে জাতি নির্ণয়ের উপায় সম্বন্ধে কয়েকটী কথা বলা আবশ্যক। মন্তক, কেশ ও নাসিকার গঠন, শরীরের দৈর্ঘ্য, এবং কেশ, চক্ষু, ও ত্বকের বর্ণ জাতি নিরূপণের উপায়। এ গুলির মধ্যে মস্তকের গঠনই শ্ৰেষ্ঠ ও অলান্ত । কপাল হইতে পশ্চাদ্ভাগ পৰ্য্যন্ত উহার দৈর্ঘ্য, ও এক কাণ হইতে আর এক কাণ পৰ্য্যন্ত উহার বিস্তার। বিস্তৃতিকে দৈর্ঘ্যদ্বারা ভাগ করিয়া ভাগফল একশতদ্বারা পূরণ করিলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায়, তাহা দ্বারা মস্তকের শ্রেণীবিভাগ হইয়া থাকে। এই সংখ্যাটী আশার অধিক চাইলে মস্তকা ‘আয়ত’, পচাত্তরের কম হইলে ‘দীর্ঘ,” এবং এই দুইয়ের মাঝামাঝি হইলে “মধ্যম” বলিয়া অভিহিত হয়। এই ভেদ অনুসারে মানুষের সংজ্ঞা, ‘আয়ত-শিরাঃ’ ( braclycephalic' ), "if-fest:" ( dolichocephalico , ali “safekt:" ( mesocephalie ) । চুলের গড়ন তিন প্রকার ; সম্প্রতি তাহাও জাতি নির্ণয়ের একটা উপায় বলিয়া গণ্য হইয়াছে। নাসিকা, দেহের উচ্চতা ও বর্ণ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করিবার কিছুই নাই । এই সকল লক্ষণের সাহায্যে নিম্নতমস্তরে যে তিনটী জাতির পরিচয় Ps3 f6f3fcz, TSIC-T fGTSīsifs (Teutonic) 4 TYST (Nordie) জাতি সৰ্ব্বাগ্ৰে উল্লেখযোগ্য, কেন না, ইহার বংশধরেরাই এখন সসাগর পরণীর অধীশ্বর। স্কাণ্ডিনেভিয়া উপদ্বীপ অর্থাৎ সুইডেন ও নরওয়ে এই জাতির আদিম বাসভূমি। ইহার দীর্ঘশিরাঃ, উন্নতকায়, ও শ্বেতকান্তি ; ইহাদিগের নাক লম্বা, সরু ও শুকচষ্ণুর মত ; চক্ষু নীল বা ধূসরবর্ণ; এবং কেশ পীত, পিঙ্গল বা কপিল । দ্বিতীয় জাতির নাম পার্বত্য (Alpine) বা কেণ্টিক (Celtic) । আসিয়ার অন্তহীন প্ৰান্তর ইহাদিগের উৎপত্তিস্থল। এই জাতির বর্ণ একটু মলিন ; ইহারা আয়তশিরা, মধ্যমাকার, ও কিঞ্চিৎ স্থূলতনু, এবং ইহাদিগের চুল ও চক্ষুর রং অনুজ্জ্বল, কিংবা প্রথম ও তৃতীয় জাতির মাঝামাঝি। তৃতীয় জাতি মাধ্যসাগরিক (Mediterranean) আইবীরিয়ান ( Iberian ) নামে আখ্যাত।
