পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বয়স । সে বিশ্বাস করতে পারত না যে নিজে যেচে হাত ধরে টানলেও মানুষ তাকে প্ৰত্যাখ্যান করতে পারে,-দেবতা ছাড়া এটা অসাধ্য। W রাখাল তাই তার কাছে সত্যই দেবতা । রাখাল গভীর মমতার সঙ্গে বলে, যেসব দিন চলে গেছে, যেতে দাও । যে জেলখানায় আটক ছিলে সেটা ভেঙ্গেই পড়ছে। আপশোষ করে লাভ কি হবে ? জীবন তো তোমার ফুরিয়ে যায় নি, এবার অন্যভাবে গড়ে তোল জীবনটা । একটি হাত তার ধরাই থাকে রাখালের হাতে। অন্য হাতে চোখ মুছে সে ব্যাকুল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। ঃ এই জীবন দিয়া আর কি করুম ? : জীবন কি ফেলনা মানুষের ? আমি তোমায় শিখিয়ে দেব কি করে নতুন জীবন গড়বে। হাত টেনে নিয়ে নিৰ্ম্মলা গড় হয়ে তার পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্ৰণাম করে । ষোল বছর বয়সে বিধবা হয়েছিল নির্মলা, বাইশ বছর বয়সে বিয়ে হবে শোভার। দু’জনেই তারা জানেন জীবন নিয়ে কি করবে। হতাশার সঙ্গে মানুষের উপর তীব্র একটা বিদ্বেষ আছে নিৰ্ম্মলার-জীবনের অভিজ্ঞতায় যার জন্ম । আশ্চৰ্য্য এই, শোভার হতাশাও নেই জ্বালাও নেই। কেন জ্বালা নেই বলে গায়ের জ্বালায় সাধনা আক্ষেপ করেছে তার কাছে । S 0)