পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাই সে দিবারাত্রি ভেবেছে কিসে কি হবে। আর কিভাবে কি করা যাবে, অথচ বিশেষ কিছু করতে না পেরেও দাবী ঠিক খাড়া রেখেছে যে যতটুকু সে করতে পারে তাই মানতে হবে সাধনাকে, অসীম ধৈৰ্য্যের সঙ্গে শান্তভাবে সমস্ত নতুন দুঃখ কষ্ট সয়ে যেতে হবে। সে-ই একমাত্র রক্ষাকর্তা সাধনার । তাকে রক্ষা করার জন্য যে অমানুষিক চেষ্টা আর পরিশ্রম সে করে চলেছে তাতেই কৃতজ্ঞ থাকা উচিত সাধনার । আর কিছুই তার করার দরকার নেই। কৃতজ্ঞ থাকবে আর নীরবে অবিচলিত ভাবে সব সয়ে যাবে। তার না। জানলেও চলবে সমস্যাটা কি এবং তার ভারটা লাঘব করতে কিছু না করলেও চলবে। সাধনারও যে প্রয়োজন আছে নতুন অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়াবার যোগ্যতা অর্জন করা, এটা সে খেয়ালও করে নি! এই ঘরের কোণে সঙ্কীর্ণ সীমাবদ্ধ জীবন যাপন করতে করতে আশেপাশের জীবনের বাস্তবতা থেকে সাধনা নিজেই ধরতে পেরেছে এবার তারও একটু বদলান দরকার, শুধু আগের দিনের শোকে কাতর হয়ে থাকলে চলবে না । নিজের ৫৫ প্ৰয়োজনে নিজের তাগিদেই সাধনা হতাশাকে ঠেকিয়েছে, খানিকটা বদলে দিয়েছে নিজেকে । 曹 সে তাই কৃতজ্ঞতা পায় নি। সাধনার। তাকে শুধু পক্ষমা করে মেনে নিয়েছে । বিশুর মার গয়না বেচ টাকা রোজগারের উপায়ে লাগিয়ে । “እ