পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগে থেকেই ধরে নেব যে আমরা বলার পরেও নিজের মতলব হাসিল করার স্পৰ্দ্ধা লোকটার হবে ? আগে থেকে ভয় দেখাতে যাব কেন ? তাতে আমাদেরি দুর্বলতা Фјкрje Celo || ঃ প্ৰভাতবাবু শুনবে তোমাদের কথা ? : শুনবে না ? ওর এটুকু বুদ্ধি নেই ? সবাই বারণ করলে সে কাজটা যে করা যায় না, মূর্থেও এটা বোঝে। সাধনা যতটা জ্বালা বোধ করেছিল, রাখালের এই সামান্য কয়েকটি কথায় সেটা একেবারে জুড়িয়ে যাবে, এটা যেন তার পছন্দ হয় না । অথচ রাখাল ঠিক কথাই বলেছে- এটা না মেনেও উপায় নেই নিজের কাছে । সাধনার তাই অন্য একটা জ্বালা আসে । সে কি রাখালের চেয়ে সব দিক দিয়েই ছোট ? বিদ্যায় বুদ্ধিতে বাস্তব-বোধে আত্মসংযমে কৰ্ম্মনিষ্ঠায়-মনুষ্যত্বে ? মানুষ হিসাবে রাখালের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করার কথাটা জীবনে আজ প্ৰথম মনে আসে। সাধনার । বেকার রাখালের সঙ্গে এতবড় প্ৰচণ্ড সংঘাত গেল, ভেঙ্গে প্ৰায় চুরমার উপক্রম হল তাদের জীবন-কিন্তু তখনও এরকম তুলনা-মূলক আত্মসমালোচনার চিন্তা তার খেয়ালেও উকি মেরে যায় নি । সে শুধু বিচার করেছে রাখাল কেমন মানুষ, কেমন স্বামী । ভাঙ্গনটা সামলে নেবার পর আত্মসমালোচনা অবশ্যই এসেছে। নিজের কতগুলি বড় বড় দোষ আর ভুল সে