পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুমোয়। জ্বরে কাতর ছেলেটা কেঁদে ঘর ফাটিয়ে দিলেও তার ঘুম ভাঙ্গে না ! আগে ছেলের কান্নায় যে বার বার জেগে যেত, সাধনার সামান্য কাসির শব্দে যার ঘুম ভেঙ্গে যেত, সে আজ চোদ পনেরটা রাত যেন বোমা ঠেকানো ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে রাত কাটিয়ে দিচ্ছে। এ সংযম সে পেল কোথায় ? শুধু তাই নয়। তার সম্পর্কে অদ্ভুত বৈরাগ্য আর গাঢ় ঘুম ছাড়াও আরেকটা গুরুতর ব্যাপার ঘটেছে। মাঝে মাঝে রাত্রের খাওয়াটা বাদ যাচ্ছে রাখালের । আজ পৰ্য্যন্ত এমন অদ্ভুত ব্যাপার আর কখনো ঘটেনি। বাইরে নেমন্তয় থাকলেই কেবল রাত্রে বাড়ীতে খাওয়াটা বাদ যেত রাখালের, তার জন্য রান্নাই হত না । আগে থেকে কিছু জানা নেই, হঠাৎ কোন যোগাযোগ ঘটে রাত্রির ভোজনটা জুটে গেল-এটা ঘটত কদাচিৎ ৷ এবারকার মনান্তরের পনের ষোলটা দিনের মধ্যে এটা ঘটেছে সাতবার। গোণা গাঁথা হিসাব আছে সাধনার । , রান্না হয়েছে তার জন্য । অনেক রাত্রে বাড়ী ফিরে সে জানিয়েছে যে খাবে না । আজও ফিরে এসে জামা কাপড় ছাড়তে ছাড়তে সে বলে, আমি খেয়ে এসেছি । ঘুমে আর শ্ৰান্তিতে তার ঢুলু ঢুলু চোখ দেখে সাধনার 9Ü8