রাখাল দোকানে যাৰে বটে। রাজীব না গেলে যে দোকান একেবারে খোলা হবে না। এমন নয় । কিন্তু রাখালের উপর অন্য হিসাবে যথেষ্ট ভক্তি শ্ৰদ্ধা এখনো বজায় থাকলেও তার দোকান চালানোর ক্ষমতায় রাজীব বিশ্বাস হারিয়েছে। সে শুধু যেন নীতি খাটায়। নীতি খাটিয়ে দোকান ভাল চললে খুন্সীই হত রাজীব। কিন্তু বিড়িপাতা শুখা, তামাকের দোকান; চালানোর নীতির সঙ্গে একেবারেই খাপ খায় না রাখালের বইয়ে পড়া উচিত অনুচিতের জটিল অঙ্ক কষে বার করা নীতির । বামাচরণকে সত্যই কি আর ভক্তি করত রাজীব । লোকটাকে সে বজাত বলেই জানত। কিন্তু তার মুস্কিল হল এই যে লোকটা কবিতা লিখতে পারত-কবিতার একটা বই লিখে ফেলা শুধু নয়, সেটা ছাপিয়ে একখানা উপহার দিয়েছিল রাজীবকে । অগত্যা তাকে ভক্তি করতে হয়েছিল । কবি-ছাপার অক্ষরে ছাপানো বই-এর কবি । সে কেমন মানুষ জানিবার অধিকার তো নেই বিড়িপাতা শুখার দোকানদার অল্প শিক্ষিত রাজীবের। সাধু সন্ন্যাসী যোগীর মত কবিও হল। আলাদা জগতের মানুষ, উচু জগতের মানুষ-লাখাপতি কোটিপতি রাজা জমিদারদের বড়লোকামি উচু জাতটার কাছে ঘোষা ভিন্ন আরেকটা জগতের মানুষ । কবিতা লিখে এবং ছাপানো কবিতার। পাচসিকে দামের y ( Qa- )-3r
