পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমি বিক্ৰী হয় না, তাই ওসব ভাওত দিয়েছিল। ফ্যাক্টরী করবে, সকলকে কাজ দেবে, থাকবার ঘর করে দেবে-সব বাজে কথা । বামাচরণ মাঝখানে ছিল, দু’জনের কাছে কমিশন বাগিয়েছে । রাগটা প্ৰভাতের উপর, কিন্তু সে তো আর সামনে নেই, সাধনার দিকে এমনভাবে চোখ পাকিয়ে চেয়ে থাকে যে মনে হয় এখুনি সাধনাকেই মেরে বসবে। তীব্র ঝাঝের সঙ্গে বলে, তোমার কথাই ফলল। আমায় বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে কাজ বাগিয়ে নিল । সাধনা শান্তভাবে বলে, তোমার একার দোষ নয়, আরও অনেকে তো ছিল । একে সব কথা বললে না ? ঃ বললাম। বৈকি ! ইনি বললেন, প্ৰভাত কি বলেছে না। বলেছে তার দায়িত্ব ইনি নেবেন কেন ? কারখানায় আনাড়ি লোক দিয়ে কি করবেন ? তবে ছুটিকে কাজের জন্য দরকার হলে দু’এক জনকে নিতে পারেন-সে তখন দেখা যাবে ! সাধনা ফোস করে ওঠে । ; ইস, বললেই হল দেখা যাবে ! প্রভাতবাবু নিজের হাতে লিখে দিয়েছে, জমি যে কিনবে ওই চুক্তিটাও তাকে মানতেই হবে । অত আইন বঁচিয়ে বজাতি করা চলবে না। এত গুলি লোকের কাছে কথা দিয়েছে সেটা ঢের বড় আইন। সাধনা সত্যি রেগেছে । এতকাল রাগ দেখাত শুধু তারই উপর, তাই বুঝি রাখালের চোখে পড়ত না তার রাগের RRR