পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টুইসনি করেও যে শোচনীয় অচল অবস্থায় পড়েছিল, সেটার অবসান হয়েছে । টুইসনির টাকা পেলে তবে রেশন আসবে, বাজার আসবে এবং উনানে হাঁড়ি চড়বে, এই অসহ্যু দুৰ্দশা আর নেই। এখন সে চোরাবাজার থেকে দু’পাঁচ সেরা চাল যখন খুলী। কিনতে পারে, দু’বেলা মাছ খাওয়াতে পারে সাধনাকে, ছেলের জন্য রোজের দুধ দরকার হলে আরও আধাসের বাড়িয়ে দিতে পারে । এই সেদিনও আধাপোয়া দুধ বাড়াতে পারে নি বলে BBD DDD DDDB KB D BBS SBDBB DDBD BD শুষেছে আর ব্যথায় টন টন করেছে তার আধ শুকনো ਲੇ | ব্যাঙ্কে কয়েক শ’ টাকাও জমেছে রাখালের। কিন্তু টুইসনি একেবারে ছাড়ে নি রাখাল, সকালে বিশুকে আর সন্ধ্যায় প্ৰভাকে নিয়মিত পড়ায়। দু’নম্বর ছেলেটিকে পড়াবার সময় পায় না । আগে ভোরে উঠে বিশুকে পড়িয়ে সটান চলে যেত এই ছাত্রটির বাড়ী, এখন যায় দোকানে। রাজীব অবশ্য তার আগেই দোকান খুলে বসে। লাভে তো ভাগ বসাবেই, ব্যবসাটাকে কোনদিকে কোন পথে টেনে নিয়ে যাবার ঝোক চাপবে তাও ঠিক নেই, তবু নগদ দুটি হাজার টাকা দিয়ে রাখাল যে ব্যবসাটা তার সুরু করতে সাহায্য করেছে তাতেই রাজীব কৃতজ্ঞতায় গলে গেছে। রাজীব বলে, আপনি ভাই যখন খুন্সী আসবেন, যতক্ষণ R