পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ী ফিরে দুষ্ঠাখে, তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বাসন্তী গল্প করছে শোভার সঙ্গে, রাখাল বেরিয়ে গিয়েছে। বাসন্তী বলে, বাঃ ভাই, বেশ । কোথায় ছিলে এতক্ষণ ? যা রাগটা রেগেছে তোমার কত্তাটি । ছি ছি, কথা কইতে কইতে একেবারে ভুলে গিয়েছি। বেশ করেছে। রোয়াকে বসে গম ঝাড়ছি, মুখ অন্ধকার করে রাখালবাবু তোমার ছেলেকে নিয়ে গিয়ে হাজির। গম ঝাড়ছি দেখে বললেন, ও, আপনিও কাজে ব্যস্ত । আমি বললাম, এ কাজ দু’ঘণ্টা বাদে করলেও চলবে, ওবেলা করলেও চলবে, কি বলবেন বলুন না ? বললেন তোমার কথাআসছি বলে ছেলেকে গছিয়ে দিয়ে তুমি নাকি ভেগেছে, উনি বেরোতে পারছেন না। আমি বললাম, আমার কাছে রেখে যান না খোকাকে ? বললে তুমি বিশ্বোস করবে না ভাই, ছেলেটাকে দড়াম করে রোয়াকে বসিয়ে দিয়ে গষ্ট গষ্ট করে বেরিয়ে গেলেন। আমিই যেন অপরাধ করেছি। খোকা বেচারা কেঁদে যায়। আর কি, কত কষ্টে যে ঠাণ্ড করেছি তোমার ছেলেকে । রাসিয়ে রাসিয়ে কথা কইতে বড় ভালবাসে বাসন্তী। কথা বলার এমন একটা নাটকীয় উপলক্ষ পেয়ে তার যেন খুন্সীর সীমা নেই। এতক্ষণ বোধ হয় সবিস্তারে শোভার কাছে বিবরণ দিচ্ছিল, সাধনা এসে পড়ায় আরেকবার বলার সুযোগ পেয়েছে। পরণে তার বেনারসী, জর্জেটের ব্লাউজ ! দেয়ালের ওপাশ