পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাষ্ঠী থেকে এক রকম বেরোয় না, সাধনার ছেলেটাকে একটু দেখলে দোষ কি ? বরং ভালই লাগে ছেলেটিকে নিয়ে থাকাতে। মনটা একটু অন্যদিকে যায়। কি পরিবর্তনটাই ঘটে মানুষের। কি অদ্ভুতভাবেই উল্টে যায় মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। চব্বিশঘণ্টা এক বাড়ীতে থেকেও যার সঙ্গে কথা কইতে বিরক্তি বোধ হত, যেচে, আলাপ করতে ঘরের দুয়ারে এসে দাড়ালে আয়নায় যাকে দেখেও মুখ ফিরিয়ে তাকাত না, আজ সে খুলী হয়েই তার ছেলেকে পাহারা দেয় তাকে একটু নির্বিববাদে পাড়া বেড়াবার সুযোগ দিতে । এমন বিশেষ কোন উপকার সাধনা তার করে নি যে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে, কোন প্ৰত্যাশাও রাখে না। তাদের কাছে। সাধনাদের দিক থেকে এই প্ৰত্যাশার ভয়েই কিছুদিন আগে আরও বেশী করে সে ওদের এড়িয়ে চলত । আজ উল্টে গেছে অবস্থা। আশা টের পেয়েছে, তাদের মত মানুষের জীবনে দারিদ্র্য আর দরিদ্রকে এড়িয়ে চলা যায় না। একটা জেল তৈরী করে নিজেকে সেখানে কয়েদ 卒双5弯弧1 সাধনার সঙ্গে সে প্ৰাণ খুলে সোজাসুজি এসব কথাও বলে । তাদের আগের দিনের সম্পর্কের কথা । সে বলে, গরীবরাই বরং ফাঁকতালে চায় না, হাত পাতে, না । এদেশে তাহলে ভিখিরিই গিজ গিজ করত । তোমারু tro