ঘরে যায়-সরলভাবে প্রাণখুলে আশার সঙ্গে আলাপ করবে।৮ একরকম পাশাপাশি ঘর, অথচ তারা ভুলেও একজন আরেক জনের ঘরে যায় না, একি অর্থহীন অকারণ বিরোধ । উনানে আঁচ দিয়ে দেয়ালে টাঙ্গানো বড় আয়নার সামনে, দাড়িয়ে আশা চুল বঁধছিল। আয়নায় সাধনাকে দেখে সে মুখ ফিরিয়ে তাকায় না, সেই ভাবেই যেন আয়নায় সাধনার প্ৰতিচ্ছবিকে জিজ্ঞাসা করে, কি বলছ ? ঃ এমনি এসেছিলাম, গল্প করতে । ঃ ও ! বেশ তো । মুখ ফেরায় না। আশা, চুল বাধা স্থগিতও করে না এক মুহুর্তের জন্য। সাধনা দাড়িয়ে থাকে, তাকে বসতেও৮ বলে না । সাধনা ঠিক করেই এসেছিল যে আশা কি ভাবছে না। ভাবছে তা নিয়ে সে মাথা ঘামাবে না, নিজের মান অপমান, নিয়ে মিথ্যে কাতর হবে না, অন্য সমস্ত হিসাব বাদ দিয়ে সরল সহজ প্ৰীতিকর কথা আর ব্যবহার দিয়ে আশাকে সে, জয় করে ছাড়বে ! বড় দমে যায়। সাধনা । তার কান দুটি ঝাঝা করে। কিন্তু যেচে গল্প করতে এসে আচমকা ফিরেই বা যাওয়া যায় কি করে ? সেদিন আশাকে উপেক্ষা করে ওদের রান্নাঘরের দরজায় দাড়িয়ে সে গায়ের জোরে রাজীবের সঙ্গে আলাপ চালিয়েছিল । সেটা ছিল আলাদা ব্যাপার। সেটা ছিলঃ o
পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০
অবয়ব