বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ী ফেরার পথে রাখালেরও মনে হয়, তার কথায় মন্ত: একটা ফঁাকি আছে। ‘সত্যই সে কি বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে সাধনাকে যে, তাকে আর তার সন্তানকে বঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আর তার একার নেই ? এজন্য নেই যে এটা তার অসাধ্য হয়ে গেছে, এমনি আজ দুরবস্থা দেশের ? না, আন্তরিকভাবে বাস্তব উপায়ে এ চেষ্টা সে কোনদিন করেনি । কথাই শুধু বলেছে নানারকম। দেশ বিদেশের কথা শুনিয়েছে সাধনাকে, দেশের আজ কেন এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা সেটা ব্যাখ্যা করেছে অনেকটা নিজের বেকারত্বের সাফাই হিসাবে । ২ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে যে নিজের দোষে সে বেকার নয়, সাধনা যে কষ্ট পাচ্ছে সেটা তার অপরাধ নয়, দেশের মানুষ যাদের বিশ্বাস করেছিল, যারা সত্যিকারের মুক্তি এনে দেবে ভেবেছিল, এটা তাদের বিশ্বাসঘাতকতার ফল । বেঁচে থাকার ও বঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব সে ভাগাভাগি করতে চায়নি। সাধনার সঙ্গে। যেভাবে পারে এক সে ভরণপোষণ করবে। তাকে আর তার:আগামী সন্তানদের, নীড় বেঁধে দিয়ে রক্ষা করবে। সেই নীড়, বিয়ের এই চুক্তিটা নিজেই সে পালন করতে চেয়েছে প্ৰাণপণে । অক্ষমতার জন্য তাই অবস্থার অজুহাত দিয়ে, নিজের নির্দোষিতার কৈফিয়ৎ দিয়ে শুধু মান বঁাচাতে চেয়েছে সাধনার কাছে। আসলে আজও তার মন মজে রয়েছে আগের দিনের 78