পাতা:সৌদামিনী প্রণয়িনী বিরহ তাপ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ সৌদামিনী প্রণয়িনী বিরহ তাপ । সমে, এ মুখময় কালে পিপাসু নয়ন যুগলের কি দোষে অম্ভরিত হইলেন, নিদয় বিধির নিদয় মনে কি এত বাদছিল, এই বলিয়া অচেতন হইলেন। আপনি যে ঈদৃশী সুখদা প্রিয়তম, তথাপি বর্য পুগান ছইল, তব অম্বর সব সেবিত হইয়া মম আত্মাভুঃ কামের তৃপ্তি হইতেছে না, যেমন অনল আহুতি সমূহ দ্বারা পরি তোষ প্রাপ্তি হয় না, মম মন তোমারি শরণাগত, অন্যবিধ রসে রসিক নছে, যিনি সৰ্ব্ব ব্যাপী যশস্থার মহিমা জানিলে অশ্রতঃ পদার্থের শ্রবন অন্মুত পদার্থের স্মরণ অজ্ঞাত পদার্থের জ্ঞান লভ্য ছয়, সেই বিশ্বপতি পরমেশ প্রসন্নত হইয়া অধিনের ভুজলতায় আপনার ভার সমপিত করিলেন, আমিও পিতার আজ্ঞাবছ হইয়া পিতার এই মধুর আদেশ যথা সাধ্য প্রতিপালনে কিঞ্চিষ্মাত্রও ক্রটি করি নাই। তথাপি দৈব বশতঃ চিরবিরহের কারণ কি । এ সংসারে সুখদায়ক যে উত্তম লোকের সহসং মিলন, পশ্চাৎ বিয়োগ ছেভু সমূহ দুঃখ পুদান করে, সম্প্রতি মম হৃদয়ে অনুত্তম ললনার বিচ্ছেদ রূপ সন্তাপ শিখা পর্য বেশিত হইল । ছে শশী শোভনে আপনি যাদৃশী সাধুশীলা, সচ্চরিত্র, এবং সরলান্তকরণ, আমিও সর্বাংশে তদনুরূপ আপনি যাদৃশী পতি গত প্রাণা পতি হিতৈষিনী, পতির সুখে মুখিনী, অৰিন সেই রূপ তব গত প্রাণ, তব ছিতাকাস্থী, তথাপি কি জন্য মম নয়ন যুগলের অন্তরাল হইলেন, এই বলিয়া অধৈর্য্যাবস্থায় অচেতন পুত্তলিকার প্রায় মছা প্রলয়ে গিরিন্দ্র ভূতল শায়ী হইলেন। ইতি সৌদামিনী প্রণয়িনী বিরহ তাপে কৃপালু পত্তির বিলাপ বর্ণন নাম দ্বিতীয় পরিচ্ছেদঃ ।