পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্যতত্ত্ব বিষয়ে ভারতীয় বৈষ্ণবশাস্ত্রের মত। ৮৭ থাকে তাহা নহে; সুন্দৱ বস্তুতে রসাঙ্গ সমূহের উপযুক্ত সন্নিবেশ পরিদৃষ্ট হয়। সুন্দর বস্তু রসাঙ্গ সমূহের যথােচিত সন্নিবেশ দ্বারা আমাদের মনে রস জাগায়। শ্ৰীমদ্ৰপ গোস্বামি পদ বলিয়াছেন - ‘ভবেৎ সৌন্দৰ্য্য মঙ্গানাং সন্নিবেশো যথোচিতম।” * ভক্তিরাসামৃত সিন্ধু, দক্ষিণ বিভাগ, ১ম লহরী। অঙ্গসমূহের যথাযোগ্য সন্নিবেশই সৌন্দৰ্য্য। শ্ৰীচৈতন্য চরিতামৃতে অন্য ভাষায় একই কথা বলা হইয়াছে,- “প্রেমাদিক স্থায়িভাবে সামগ্ৰী মিলনে । কৃষ্ণভক্তি রসরূপে পায় পরিণামে ৷ বিভাব অনুভব সাত্ত্বিক ব্যভিচারী। স্থায়িভাব রস হয়। এই চারি মিলি ৷ দধি যেন খণ্ড মরিচ-কপুর মিলনে। রসালাখ্যা রস হয় অমৃতাস্বাদনে । মধ্য খণ্ড, ত্ৰয়োবিংশ পরিচ্ছেদ । জড়ই প্ৰাকৃত জগতের সৌন্দৰ্য্যের অঙ্গ। বৰ্ণ, শব্দ, প্ৰস্তর প্রভৃতি জড়ীয় অঙ্গ সমূহের উপযুক্ত সন্নিবেশের উপর প্রাকৃত জগতের সৌন্দৰ্য্য নির্ভর করে। অঙ্গ সমূহের স্থূলত্ব রাসনিস্পত্তি বিষয়ে অনেকটা বাধা জন্মায়। স্কুল অপেক্ষা সুক্ষ্ম অঙ্গ সমূহ অধিক রস প্ৰদানক্ষম। এই জন্যই কলাবিদেরা স্থাপত্য, ভাস্কৰ্য্য এবং চিত্রবিদ্যা অপেক্ষা সঙ্গীত ও কাব্যের মাধুৰ্য্যের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিয়া থাকেন। স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ জগতের সীমা অতিক্রম করিয়া চিন্ময় ধামে পৌছা যায়। তথাহি লঘুভাগবতামৃতে,- '

  • গ্লাখ্যাঙ্গসন্নিবেশো যঃ সুরম্যাঙ্গঃ সি কথ্যতে ॥ ভক্তিরাসামৃতসিন্ধু, দক্ষিণ दिख्ा', Sश व्लङ्झै ।

প্ৰশংসিত অঙ্গের যে সন্নিবেশ অর্থাৎ গঠন তাহাকে সুরম্যাঙ্গ বলে।