বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্ত্রীস্বাধীনতা ও স্ত্রীশিক্ষা.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২৩)

শাস্ত্রপাঠে তাহা হইবে না। সাধন বিনা উহা কিছুতেই হইবার নহে। সাধন গুরুসাপেক্ষ। গুরূপদেশে সাধন রূপ অভ্যাসের দ্বারা কালে আত্মজ্ঞান লাভ হইলে মনের মলিনতা দূর হইয়া মন উন্নতাবস্থা প্রাপ্ত হয়। মনের এই উন্নত অবস্থাই ব্রহ্মের রূপ। সুতরাং এ অবস্থায় কোন আশঙ্কা নাই। আশঙ্কা না হইবারই কথা। যাহাকে আশঙ্কা করিব সে আমার বশীভূত, আমি তাহার বশীভূত নহি। সুতরাং জগতে আমার আশঙ্কার স্থান বা বিষয় কোথাও নাই, শিক্ষা করিবারও কিছুই নাই, যেমন জানা হইলে জানিবার আবশ্যক থাকে না তদ্রূপ। যদি এরূপ বলা যায় যে এখন আমাদের চারিদিক অভাবে পরিপূর্ণ এত অভাব সত্ত্বে বালকবালিকাগণকে এই আত্মবিদ্যা কি রূপে শিক্ষা দেওয়া যাইতে পারে? বাস্তবিক ইহা মনে হওয়া অসম্ভব নয়। এক্ষণে দেখা যাউক অভাব মিটে কিসে এবং কি কার্য্য করিলেই বা অভাব যায়? প্রথমে দেখা যাউক কাহারও অভাব মিটিয়াছে কি না? বাস্তবিক দেখিতে গেলে অভাব যে কাহারও মিটিয়াছে তাহা ত বোধ হয় না; কারণ যতকাল জীবের ভোগ লালসা বর্ত্তমান থাকিবে ততকাল অভাবেরও নাশ হইবে না। গরিব প্রজা হইতে রাজা পর্য্যন্ত সকলেরই অভাব বর্ত্তমান আছে। তবে আমরা সময়ে সময়ে পরস্পর পরস্পরকে মনে করিয়া থাকি যে আমা অপেক্ষা অপরের অভাব কম। কিন্তু বাস্তবিক তাহা আমার ভ্রম। আমার অভাব শব্দের অর্থবোধ না থাকায় আমি মনে করিয়া থাকি যে আমা অপেক্ষ অপরের অভাব কম। বস্তুতঃ সকলেরই হৃদয়ে অভাব বিরাজ করিতেছে ও কষ্ট দিতেছে। সেই অভাব দূর হইলে জীবের কষ্ট