এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(৩৪)
ব্রাজক, রাজপুত্র, আমীর, বণিক্, দরবেশ, শিল্পী, ঐতিহাসিক এবং কবিগণ জোহরা প্রাসাদ দর্শন করিয়া সকলেই একবাক্যে সবিস্ময়ে ইহার অতুলনীয়তা, বৈচিত্র্য, দৃঢ়তা, বিশালতা এবং গঠনকৌশলের প্রশংসা কীর্ত্তন করিতেন।
জোহরার অনুপম উদ্যান, মূর্ত্তিময় আশ্চর্য্য ফোয়ারা সকল, স্তম্ভাবলীর মসৃণতা এবং খোদাই-কৌশল, গম্বুজবিশিষ্ট অঙ্গুরীয়ক কুঠরী গুলি, স্বর্ণবর্ণ বিরাট কক্ষ, সমুচ্চ চূড়াচয়, প্রস্তরখণ্ড সমূহের সম্মিলনের অলক্ষ্যতা, কারুকার্য্যের বিচিত্রতা এবং সূক্ষতা, দ্বারসমূহের প্রকাণ্ডত্ব এবং দৃঢ়ত্ব, জানালাগুলির জাফরীর কার্য্য, অতুল বৈভবের পরিচায়ক সাজসজ্জা, দ্বিরদ-রদ-রচিত রম্য আসন, মৌক্তিক ঝালর, মণিদাম-খচিত ক্ষৌম এবং কোঁষেয় চন্দ্রাতপ ও জ্যোতিতিরস্করিণী পরস্পর স্বর্ণ ও রৌপ্য-শৃঙ্খল-সংবদ্ধ বেল্লর ও ধাতব ঝাড়, লণ্ঠন,