পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস। * २१ অশ্বদয়কে কোন দোকানের নিকট রাখিয়া পদব্রজে সাহেবের অনুসরণে প্রবৃত্ত হইলাম । ঘূহের মধ্যে মধ্যে পশ্চাৎ ফিরিয়া আমাদিগকে দেখিতে লাগিলেন, তাহার তীব্র দৃষ্টি দেখিয়া ভয়ে আমরা পিছে হটীয়। আসিলাম। অবশেষে সাহেব ক্রদ্ধ হইয়া আমাদিগকে তাহার অনুগমন করিতে নিষেধ করিলেন তথাপি তাহাতে আমাদের আরও সন্দেহ হইল, সুতরাং আমরা উভয়ে সাহেবের অার ও নিকট যাইতে লাগিলাম । তখন সাহেব উন্মত্ত ভল্লকের ন্যায় ছুটিয়া আসিয়া আমার গালে একটা ঘুশ ও আমার সঙ্গীর নাসিকায় ভীষণ চপেটাঘাত করিল। সেই আঘাত আতিশয্যে সঙ্গী তৎক্ষণাৎ ভূতলশারী হ হল । তাহার নাসারন্ধ, হইতে রক্তস্রোত ছুটিল । পরে ৪৷৫ জন বাঙ্গালী যাইতে ছিলেন । তাহার। দৌড়িয়া বনের ভিতর পলাইয়া গেলেন । আমার সঙ্গী অচেতন অবস্থায় রাজমাগে জল কাদায় পড়িয়া র হিল । । কিন্তু আমার নিজের সন্দেহ চতুগুণ তাধিক হওয়াতে আমি কিছুতেই সাহেব অনুসরণ ছাড়িলাম না। অনেক দূরে থাকিয়া সাহেবের উপর দৃষ্টি রাখিয়া প্রচ্ছন্নভাবে চলিতে লাগিলাম । যখন দেখিলাম যে সাহেব মেমকে লইয়া একটা বাঙ্গালায় প্রবেশ করিলেন, তখন আবার আমি ঘোড়ার নিকট আসিয়া তদুপরি আরোহণ করিয়া উড়িতে উড়িতে সমাচার দিতে আসিলাম, এখন তামার প্রতি যে আজ্ঞা হইবে আমি তাহাই করিব । । বক্তা উত্তর প্রতীক্ষায় বসিয়া রহিল । মহারাজের বদন মেঘান্ধকার হইল । এককালে যেন সহস্ৰ সহস্র ক্ষুদ্র পিপীলিক। তাহার লোম কুপ সমূহে দংশন করিল। তিনি সর্বাবয়বে অসহ্য বিষম জ্বল। অনুভব করিতে লাগিলেন। তার সংবাদ