পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস। ১৯৯ । প্রধান হইতেছেন এবং ধনোপার্জন করিয়া জানন্দ করিতে ছেন । ও পণ্ডিত সমুহেতে বেষ্টিত হইয়া পুণ্য ক্রিয়া এবং পবিত্র । যশোলাভ করিতেছেন সেই মু খ্যাতি সম্পাদক মহত্তর শৌর্য্য তাহাতে তোমরা চোরপথাবলম্বন করিয়াছ “হ৷” তোমাদের এই দুৰ্ম্মতি ত্যাগ ইওয়া অতি কঠিন । তখন চোর সকল কহিতেছে, হে রাজাধিরাজ, দুৰ্ম্মতিই চৌর্য্যের কারণ হইয়াছে । তাহা শুনিয়া ভুপতি কহিলেন যদি তোমরা দুৰ্ম্মতি স্বীকার করিলে তবে কেন ত্যাগ না কর । পরে চোরগণ কহিল হে নরপতি আমাদিগের দারিদ্র্য ভার চৌর্য্য পরিত্যাগের প্রতিবন্ধক হইয়াছে যে হেতু দরিদ্র লোক পাপ কৰ্ম্মেই নিযুক্ত হয় এবং নানা প্রকার দুঃখ ভোগ করায় ও চৌর্য্যাভ্যাস করায়, আর শঠতা শিক্ষা করায়, এবং নীচ লোকের উপামন করায়, ও কৃপণ লোকের নিকটে যাচ এণ করায়, দেখুন দারিদ্র্যদশা কোন কোন অবস্থা না করে ? তাহ। শুনিয়া রাজা কহিলেন হে তস্কর সকল, যে কালে আমার সহিত তোমাদের সখ্য তা হইয়াছে সেই সময় তোমাদিগের দরিদ্রতা ও গিয়াছে যে হেতুক তুল্যাবস্থাতে তুল্য ব্যক্তিতেই সথিভাব সম্ভব হয়, দেখ আমি এইক্ষণ তোমাদিগের সখ্যাশ্রয় করিয়া চুরি করিয়াছি, তোমরা আমার সহিত মিত্রতা করিয়া কি রাজ্য প্রাপ্ত হইবা না, অর্থাৎ অবশ্য রাজ্য পাইবা, তন্নিমিত্তে আমার সাক্ষাৎকারে দুষ্টক্রিয়া পরিত্যাগ স্বীকার কর । তখন চোর সকল কহিল কেন ত্যাগ না করিব । তাহ। শুনিয়া ভুপতি বলিলেন সম্প্রতি তোমরা শিকলে বদ্ধ আছ অতএব আমার কথা স্বীকার কর, আর কোন দুষ্ট লোক পরায় ও হইয়া জিহবাগ্রে সম্ভত বাক্যেতে দুৰ্ম্মতি ত্যাগ এবং গুণ গ্রহণ স্বীকার না করে, ভাল, যদি পুনর্দার কুকৰ্ম্ম কর তবে এই