পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলতিলক, আপনি ৰে পিতৃঋণ পরিশোধ করিবেন, ইহা কোন পরে কালিদাস হৰ্ষোৎফুল্প-চিত্তে সহাস্য বদনে সেই নিদিষ্ট বৃক্ষের নিকটে উপনীত হইলেন ; এবং তৎক্ষণাৎ তাহার মূল দেশ খনন করিয়া ভূগর্ভ হইতে দুইটা, তন্ত্ৰিকলসপূর্ণ দুই কোট ৷ রত্ন প্রাপ্ত হইলেন । অনন্তর সেই দুই কলস সমেত রাজসভায় পুনরাগমন করিয়া কহিত্তে লাগিলেন, হে নর বর ! আমি সেই তাল রক্ষের মূলদেশ হইতে দুই কোটি রত্ন প্রাপ্ত হইয়াছি, আমার প্রাপ্য এক কোটি নব নবতি লক্ষ রত্ন আমি গ্রহণ করিলাম, অপর লক্ষ রত্ন আপনি গ্রহণ করুন । - নরপতি অত্যন্ত চমৎকৃত হইয়া কহিলেন, হে সুবুদ্ধিশেখর কবিকুলতিলক কোবিদবর ! আপনি কি রূপে জানিলেন, যে রত্ন ব্লক্ষের মূলে নিহিত আছে। কালিদাস কহিলেন মহারাজের জনক মহাত্ম৷ লিখিয়াছিলেন, যে, “আষাঢ়াস্ত দিবসের মধ্যাহ্ব কালে আমার নদীতীরস্থ উদ্যানের মধ্যস্থিত তালবৃক্ষোপরি অনেক রত্ন রাখিলাম।” ইহার অভিপ্রায় এই, যে, আষাঢ়াস্ত দিবসের মধ্যাহ্বকালে মস্তকের ছায়। পাদমূলে আসিয়া থাকে। এই সঙ্কেতে ঐ ব্লক্ষের মূলদেশ খনন করিয়া এই রত্ন প্রাপ্ত স শাম নতুবা ঐরক্ষের উপরিভাগে রত্ন রাখা সম্ভাবিত নহে । ইহা শুনিবা মাত্র রাজ বিস্ময়াপন্ন হইয়া কালিদাসকে অগণ্য ধন্যবাদ প্রদান-পূৰ্ব্বক অপর লক্ষ রত্নও গ্রহণ করিতে অযুরোধ করিলেন ; এবং সভামধ্যে দণ্ডায়মান হইয়। স সন্ত্রমে কালিদাসের পাদবন্দন-পূৰ্ব্বক কহিতে লাগিলেন,—ধন্ত রে স্বগীয় মুধাভিষিক্ত কলি হাশক্তি ! তোমার অসাধ্য কাৰ্য্য ভূমণ্ডলে আর কি আছে! তোমা ব্যতিরেকে এরূপ বুদ্ধিমত্ত। প্রকাশ করিতে কে সমর্থ হইবে ? অপরাপর স্বষ্টি অপেক্ষাও তোমার সৃষ্টি চমৎকারিণী ।