পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলন-রীত্রি ম্যাজিষ্ট্রেট একটু হাসিয়া বলিলেন,—“চল ঘরে যাচ্ছি। তবে স্বীকারোক্তির সময় ইনিও থাকবেন। একেই এখন থেকে তোমাদের ম্যাজিষ্ট্রেট ব’লে জেনে । পয়গু মেল ডে-—সে দিন আমাকে ছাড়তেই হবে । আশা করি-—তার আগেই এ caseটা শেষ ক'রে যেতে পারবে I* সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ বন্দী আনীত হইলে ম্যাজিষ্ট্রেট তাছাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“তুমি প্রসাদপুর রাজার ডাক্তার ?” উত্তর হইল,—“কিছুদিন থেকে সেখানে আছি বটে ?” প্রশ্ন । রাজা ত এখন কলকাতায়—এ সময় তুমি যে প্রপাদপুরে ?” উত্তর । হাসপাতালেব একটা case দেখতে এসেছি s" প্রশ্ন । শীতের রাত্রিতে, মেঘ বৃষ্টির মধ্যে, স্বথের অগস্তানা ছেড়ে জঙ্গলে এসেছিলে কি অভি७थांtग्र ?” উত্তর । শুনেছিলুম জঙ্গলে মাঝে মাঝে ভূত দেখা যায়—তাই--" কথা শেষ করিতে না দিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট ক্রোধপূর্ণ শ্লেষবাক্যে কৰিলেন,—“ও, খুব সাহসী তুমি ? কে সঙ্গে ছিল তোমার ** উত্তর। কেহই না । প্রশ্ন । কেহই না ? উত্তর । না । ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশে, দারোগ তখন একটা পিস্তল বন্দীকে দেখাষ্টয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, "এ পিস্তল তোমার পকেটে ছিল কি না ? উত্তর । ছিল । মজিষ্ট্রেট জিজ্ঞাসা করিলেন,- “এ রাজার নামাঙ্কিত পিস্তল—তুমি পেলে কি ক’রে ? উত্তর । রাজা দিয়েছিলেন । প্রশ্ন। রাজা দিয়েছিলেন ? কেন ? উত্তর । আত্মরক্ষার জন্ত । ম্যাজিষ্ট্রেট বলিলেন,—“যে ভাল মানুষ, আত্মরক্ষার জন্ত তার পিস্তলের কি দরকার ? বল, বিদ্রোহের জন্ত এ পিস্তল তোমার মিলেছিল ?” ৩৯ ডাক্তার বলিলেন,—“আপনার ধরে কি পিস্তল নাই ? আপনি কি বিদ্রোহী ?" ম্যাজিষ্ট্রেট এই উত্তবে অত্যন্ত রাগিয়া গেলেন, — চড়া সুরে কষ্টিলেন--“আমি ম্যাজিষ্ট্রেট আমি ইংরাজ ! নিগারের সহিত --অামার তুলনা ক’রে জান তুমি দণ্ডনীয় হচ্ছ ?” এই সময় পুলিস-কৰ্ত্ত মিঃ বেনওয়েল র্ত হার দল বলকে দ্বারদেশে রাখিয়া এখানে অtসিয়া হাজির হষ্টলেন এবং বিজন রায়েব সৌজন্তে জঙ্গলের মন্দির ভেদ করিয়া যে সকল হাতিয়ার লাভ করিয়াছিলেন--- যথারীতি অভিবাদন এবং অস্ত্র প্রাপ্তির বিবরণ সংবাদ সহ সেগুলি ম্যাজিষ্ট্রেটের টেবিলে ধরিয়া দিলেন। ম্যাজিষ্ট্রেট একে একে অস্ত্রগুলা হাতে লঃ য়। দেখিলেন, তন্মধ্যে দুষ্টখানা প্রসাদপুরনামাঙ্কিত তরবারি । এই দুইখানা মাত্র অ1ডডীয় ফেলিয়া রাখিয়া প্রসাদপুররাজের অন্যান্য ছাতিয়ার ডাকতগণ ব্যবহারের জন্য পূৰ্ব্বেই ই ইয়া গিয়াছিল এবং শরৎকুমারপ্রমূখ দল যে কি কারণে এগুলি হস্তগত করিবার অবসর পান নাই, তাহা পাঠক জানেন । পুলিসের কৰ্ত্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের ইঙ্গিতে সেই তরবারির একখানি বন্দীর হাঙ্গে দিয়1 fজজ্ঞাসা করিল, "এ অস্ত্র কি চেন তুমি ? এ কি প্রসাদপুররাজের }” উস্থর হইল,—“চিনি না ; অর্থাৎ পুর্বে এ তরবারি অামি দেখি নাই । কিন্তু ইহ বখন রাজার নামাঙ্কিত, তখন এ অস্ত্র তার ” মিঃ বেনওয়েল বলিল, "এ অস্ত্র বিদ্রোহীদের অগডডায় পাওয়া গেছে ; তিনি কি তা হ’লে তাদের এণ্ডল উপহার দিয়েছিলেন ?” শরৎকুমার দৃঢ়স্বরে উত্তর করিলেন,- “নিশ্চয়ই ন। অনেক অস্ত্র তাব চুরা পিরেছে।” ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিসের কৰ্ত্তাকে ৪ি জ্ঞাস করিলেন,- “এই চুরীর ংবাদ কি থানার লিপিয়েছিলেন তিনি ?” বেনওয়েল বলিল, -“না তার অস্ত্র চাব পবর আমরা কিছুই জানিনে । বিজন রায় এখানে উপস্থিত আছেন ; তার কাছ থেকে এ সম্বন্ধে সঠিক খবর পাওয়া “েতে পারে ।” বিজন আসিলে ম্যাণি পুঁট শরৎকুমারকে নিৰ্দেশ করিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহাকে চেন তুমি ?” ডাক্তারেল প্রতি বিদ্বেষভাব বিজনের মনে জন্মগত সংস্কার তুল্য এমনই বদ্ধমূল ইষ্টয়া গিয়াছিল যে, তাহাকে দেখিবা মাত্র তাহার সর্বশরীরে যেন দাবানল জ্বলিয়া উঠিল এবং তাহার হৃদয়ের মৃত