পাতা:স্বর্ণলতা-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণলতা : ১০ যাও, কিন্তু আমি চাল ডাল পাঠাতে পারর না।" বাপের বাড়ীর নিন্দা কখনই স্ত্রীলোকের সহ্য হয় না। বিশেষতঃ প্রমদা রাগ করিয়াছিলেন, এ জন্য শশিভষেণের বাগোক্তি শনিয়া একেবারে মৰ্ম্মে বেদনা পাইলেন এবং অধোবদনে অশ্রপাত করিতে লাগিলেন। শশিভাষণ বুঝিতে পারিলেন, প্রমদাকে গর্তর বেদনা দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু তখনই কোন সাতনার কথা কহিলে বেদনার হাস না হইয়া বরং বধি হইবেক, এই ভাবিয়া তথা হইতে চলিয়া গেলেন । কিন্তু স্থানান্তরে গিয়াও অধিক ক্ষণ থাকিতে পারিলেন না । এ জন্য অন্ধ ঘণ্টা আন্দাজ পরে আবার গহে প্রত্যাগমন করিয়া দেখিলেন, প্রমদা শয়ন করিয়াই আছেন । কাছে বসিয়া জিজ্ঞাসিলেন, “কি হয়েছে ?" প্রমদা উত্তর দিলেন না । পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, তথাপি কোনও উত্তর পাইলেন না । ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া শশিভাষণ আরম্ভ করিলেন, “অদটে যার যা লেখা থাকে, কার সাধ্য তা খন্ডন করে ; মনে করে আসিতেছিলাম যে, যে-চন্দ্রহারের জন্য এক বৎসর দরবার হচেছ, আজ তার বায়না দিলাম ; আজ বাড়ী গিয়ে বড়ই আদর পাব । কিন্তু অদণ্টে তা ত নেই, সতরাং কি প্রকারে তা ঘটবে ? অাদর পড়ে মরকে, আজ কথাটিও শুনতে পাই না।” শশিভুষণ পৰববিৎ বলিতে লাগিলেন, “বিধ কাঁহত, ‘এখন চন্দ্রহার স্থগিত রেখে বরঞ্চ বৈঠকখানা-ঘরটি সম্পণে করন ? আমি মনে করলাম, বৈঠকখানা ত হবেই, যেখানে অন্ধেক হয়েছে, আর অন্ধেক বাকি থাকবে না ।" প্রমদা আর থাকিতে পারিলেন না । প্রথমতঃ সোনার চন্দ্রহারের কথা, দ্বিতীয়তঃ তন্বিষয়ে বিধুভুষণের প্রতিবন্ধক হওয়া, ইহা শুনিলে মত হইলেও প্রমদার চৈতন্য হইত। তিনি কহিলেন, “ওদের দু-জনের জালাতেই ত চিরকালটা জবালাতন হলাম। আমার এত অনিষ্ট করেও কি ওদের মনবাঞ্ছা পণ হ’ল না ?" শশিভুষণ ব্যগ্র হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ওরা কারা, আর তোমাকেই বা কি জবালাতন কলে ?" প্র । কি জালাতন কলেল, আবার জিজ্ঞাসা করছো ? কেন, বাকি রয়েছে কি ? শ । পট করে না বললে ত আমি বুঝতে পারি না। আমি ত জান নই যে, এক কথার অন্ধেক না শুনিয়াই সম্পণ বুঝতে পারব ? তুমি ত একা বিধরে নাম কর নাই, ওরা বললে সে কে কে, তা কি প্রকারে জানাব ? প্র । কে কে ? আবার কে হ’তে পারে ? কতা আর গিন্নী । কতটি আমার পাছে লেগেছেন ; আমার কিছ হ'লেই যেন তাঁর সর্বনাশ হয়। তিনি যেন নিজের টাকা ভেঙ্গে দিচ্ছেন। আর গিন্নীটি যাতে আমি পাঁচ জনের কাছে অপদস্থ হই, তারই চেষ্টায় থাকেন । শ। কেন, বিধ তোমাকে ত না দেবার কথা বলে নি, সে বলেছিল, লোক জনটা এলে পথানাভাবে কষ্ট হয়, এ জন্য বৈঠকখানা আগে হ’লেই ভাল হয় । প্র ৷ ইচ্ছায় বলি কি, তোমার বৃদ্ধি কম ? তুমি ভালমানষে, ও-সব ত