দশম পরিচ্ছেদ : ৩৭ অনিটকে সত্বরই নিবাণ করিয়া ফেলেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার কিঞ্চিৎ পষেব এই অগ্নি জনলিয়া উঠে ; আড়াই বৎসর মিট মিট করিয়া জলিয়া পরে চক্ষের জলে মিবিয়া যায় । মদীর প্রবেশ মাত্রেই যে ব্রাহ্মণটির চক্ষ বাতাসে বিলোড়িত দীপশিখার ন্যায় একবার এ দিক একবার ও দিক যাইতেছিল, তিনি একাগ্রচিত্তে উপাসনায় মনোনিবেশ করিলেন। মদী তাহাদিগকে তদবপথ দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এরা কারা ?” তাহার সহধৰ্ম্মিণী উত্তর করিল, "এরা ব্রাহ্মণ, কলেজে পড়ে । এখন ওদের কিছ: ব’লো না, ওরা পরমেশ্বরের নাম করছে ।" মদী বিমিত ও রাগত হইয়া তাহার তাঁকে কহিল, “ঔদের আমার ঘরে কে জায়গা দিলে ? ওরা ব্রাহ্মণ, তোরে কে বললে ; দেখতে পাচিছস নে, সব ধৰ্ম্মম ঘট করছে ? ওদের কি জাত আছে ?" পরে ব্রাহ্মন্বয়ের প্রতি, “ওগো, আপনারা ব্রাহ্মণই হও, আর যাই হও, এখন ওটো । আমার ঘরে রান্নার জায়গা হবে না, আমি হিন্দ মানুষ, ধম্মবট টট কিছু বুঝি মে। ওটো ওটো ।” মদীর কথা শুনিয়া ব্রাহ্মণদ্বয়ের ধ্যান ভঙ্গ হইল। নয়ন উন্মীলন করিয়া দেখেন, সম্মখে পাঁচ হাত লম্বা এক প্রকা"ড় মদীর মুক্তি রাগত হইয়া তাহাদিগকে উঠিয়া যাইতে কহিতেছে । অন্ধকার রাত, অজ্ঞাত স্থান ! কোথায় যান ? উভয়েই সকরণ সবরে কহিলেন, “আমরা ধৰ্ম্মঘট করছি তোমাকে কে বললে ? আমাদের কালেজের পড়া মুখস্ত পড়তেছিলাম।" “পড়াই পড়, আর ধৰ্ম্মঘটই কর, আমার এখানে তোমাদের জায়গা হবে না ।" যে ব্রাহ্মটি উপাসনার সময় একাগ্রচিত্তে এ দিকে ও দিকে চাহিয়া দেখিতেছিলেন, তাঁহার মনে লইল, মদীর রাগ যেন তাঁহারই উপর বেশী—কথা কহিবার সময় যেন তাঁহারই দিকে চাহিয়া কহিতেছে, এ জন্য তিনি নয়ন উত্তোলন করিলেন না । উভয়ের উঠিতে অনিচ্ছা দেখিয়া মদী অগ্রে তাঁহারই হাত ধরিয়া কহিল, “আমি ভালত্বরে বলছি, এই বেলা ওটো, না ওটো যদি, তবে একটা গোলযোগ হবে " এই বলিয়া মদী ঘরের কোণের দিকে চাহিল । কোণে একগাছি পথলঙ্কলেবরা তালযটি ছিল । ব্রাহ্মন্বয়ও সেই দিকে দটি নিক্ষেপ করিলেন এবং দ্বিতীয় কথাটি না কহিয়া গহ হইতে বাহিরে আসিলেন । ঘর পরিকার হইলে সহধৰ্ম্মিণীকে মদী কহিল, "বড় ধম, যেন বাড়ী কটম এসেছে, না ? ওরা কে ? তোর ভাই না কি যে, তই দোকানের কাজ ফেলে দুটো ভাল খদের তাড়িয়ে ইন্টিদেবতার মতন ওদের সেবা কচিছস ?” মদীপত্নী চাপ করিয়া রহিল। বোধ হয় তাহার সহিত কথা কহিবার সময়ও মদী গহের কোণে দটি নিক্ষেপ করিয়াছিল। t; এইরপে সমস্ত গোলমাল চকিয়া গেলে মদী তামাক খাইতে আরম্ভ করিল,
