নিজের চেষ্টায় তিনি এরূপ একটি ভাব ও আদর্শ আবিষ্কার করিলেন, যাহা এই উভয়বিধ আংশিক মতের ন্যায়সঙ্গত সমন্বয় এবং ব্যাখ্যাস্বরূপ। বহু সপ্তাহ পরে একবার কোন ঘটনা সম্বন্ধে উক্ত শিষ্যার নিরপেক্ষ মত জানিবার চেষ্টা করিয়া যারপর নাই বিফল-মনোরথ হইয়া স্বামিজী বলিয়া উঠিয়াছিলেন, “বাস্তবিকই তোমার যেরূপ স্বজাতিপ্রেম, উহা ত পাপ! অধিকাংশ লোকই যে স্বার্থের প্ররোচনায় কার্য্য করিয়া থাকে—আমি চাই তুমি এইটুকু বুঝ, কিন্তু তুমি ক্রমাগত ইহাকে উল্টাইয়া দিয়া বলিয়া থাক যে, একটী জাতিবিশেষের সকলই দেবতা। অজ্ঞতাকে এরূপে আঁকড়াইয়া ধরিয়া থাকা ত দুষ্টামি!” আর একটি বিষয় অর্থাৎ স্ত্রীজাতির প্রতি পাশ্চাত্ত্যগণের আধুনিক ধারণা সম্বন্ধে এই শিষ্যা মহা একগুঁয়েমির পরিচয় দিয়াছিলেন। মনের যে উদার ও নিঃস্বার্থ অবস্থার লোক সত্যকে আগ্রহের সহিত গ্রহণ করে তাহার তুলনায়, এই উভয় স্থলে নিজ সীমাবদ্ধ সহানুভূতির প্রকাশ এখন এই শিষ্যার নিকট খুব তুচ্ছ ও হীন-বুদ্ধিপ্রস্থত বলিয়া মনে হয়। কিন্তু সে সময়ে যেন ঐ সংকীর্ণতা বাস্তবিকই গন্তব্যপথের এক মহাবিঘ্নস্বরূপ হইয়া দাঁড়াইয়াছিল, এবং তাঁহার সামনে যে আদর্শ মানবত্বের অভিনয় হইতেছিল, তাহাতে কোন কিছুর আড়াল পড়িতে দেওয়া যে নির্ব্বুদ্ধিতা তাহা হৃদয়ঙ্গম না করা পর্যন্ত ঐ বিঘ্ন অপসারিত হয় নাই। একবার এইটি বুঝিবার পর, যে সকল বিষয় তিনি মানিয়া লইতে বা বুঝিতে অক্ষম হইতেন, সেগুলির প্রতি তিনি সহজেই নিরপেক্ষ থাকিতে এবং তত্তৎসম্বন্ধে চরম সিদ্ধান্তে উপনীত
২০