দ্বাদশ বল্পী । না।--তা বাড়ীতে লেখা ত দুরের কথা । মন্মথ বাবুকে স্বপ্নের কথা।” বলায় তিনি তখনই ঐ বিষয়ের সংবাদের জন্য কলিকাতায়, তার কবুলেন। কারণ, স্বপ্নটা দেখে মনটা বড়ই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আবার, এদিকে মান্দ্রাজের বন্ধুগণ তখন আমায় আমেরিকায় যাবার যোগাড় করে তাড়া লাগাচ্ছিল ; কিন্তু মা’র শারীরিক কুশল সংবাদটা না পেয়ে যেতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। আমার ভাব বুঝে মন্মথবাবু বললেন যে, সহরের কিছু দূরে এক জন পিশাচসিদ্ধ লোক বাস করে-সে জীবের শুভাশুভ ভূত-ভবিষ্যৎ, সকল খবর বলে দিতে পারে। মন্মথ'র অনুরোধে ও নিজের মানসিক উদ্বেগ দুৱ কত্তে তা’র নিকট যেতে রাজী হলুম। মন্মথবাবু, আমি, আলাসিঙ্গা ও আর একজন খানিকটা রেলে করে গিয়ে পরে পায়ে হেঁটে সেখানে ত গেলুম। গিয়ে দেখি, শ্মশানের পাশে বিকটাকার, শুটুকো, ভুষ কালো একটা লোক বসে আছে। তার অনুচরগণ “কিড়িং মিড়িৎ’ করে মাদ্রাজি ভাষায় বুঝিয়ে দিলে, উনিই পিশাচসিদ্ধ পুরুষ। প্রথমটা আমাদের সে ত আমলেই আনলে না । তার পর যখন আমরা ফেব্রুবার উদ্যোগ করছি, তখন আমাদের দাড়াবার জন্য অনুরোধ কবুলে। সঙ্গী আলাসিঙ্গাই দোভাষীর কাষ কর্তৃছিল। আমাদের দাড়াবার কথা বললে। তার পর একটা পেনসিল দিয়ে লোকটা খানিকক্ষণ ধরে কি আঁক্ পাড়তে লাগল। পরে দেখলুম, লোকটা concentration ( মন একাগ্র) করে ফেন একেবারে স্থির হয়ে পড়ল। তার পর আগে আমার নাম, গোত্র, চৌদ্দ পুরুষের খবর বল্পে; আর বলে যে, ঠাকুর আমার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত ফিরছেন, এবং গর্ভধারিণী মা’র মঙ্গল সমাচারও বল্লে! আর, 6
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৩২
অবয়ব