পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম বল্পী । নাই। শিষ্য আজ স্বামিজীকে নিজহন্তে রন্ধন করিয়া খাওয়াইবেস্বামিজীর আদেশ। মাছ, তরকারী ও রন্ধনের উপযোগী অন্যান্য দ্রব্যাদি লইয়া বেলা ৮টা আন্দাজ সে ৮বলরাম বাবুর বাড়ী উপস্থিত হইয়াছে। তাহাকে দেখিয়া স্বামিজী বলিলেন, “তোদের দেশের মত রান্না কত্তে হবে; আর গ্রহণের পূর্বেই খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়া চাই।” বলরাম বাবুদের বাড়ীর মেয়ে ছেলেরা কেহই এখন কলিকাতায় নাই। সুতরাং বাড়ী একেবারে খালি। শিষ্য বাড়ীর ভিতরে রন্ধনশালায় গিয়া রন্ধন আরম্ভ করিল। শ্ৰীরামকৃষ্ণগত প্ৰাণা যোগীনমাতা নিকটে দাড়াইয়া শিষ্যকে রন্ধনসম্বন্ধীয় সকল বিষয় যোগাড় দিতে ও সময়ে সময়ে দেখাইয়া দিয়া সাহায্য করিতে লাগিলেন, এবং স্বামিজী মধ্যে মধ্যে ভিতরে আসিয়া রান্না দেখিয়া তাহাকে উৎসাহিত করিতে লাগিলেন ; আবার কখনও বা “দেখিস “মাছের জুল’ যেন ঠিক বাঙ্গাল দিশি ধরণে হয়” বলিয়া রঙ্গ করিতে লাগিলেন । Z ভাত, মুগের দাল, কৈ মাছের ঝোল, মাছের টক ও মাছের, সুজুনি, রান্না প্রায় শেষ হইয়াছে, এমন সময় স্বামিজী স্নান করিয়া আসিয়া নিজেই পাতা করিয়া খাইতে বসিলেন। এখনও রান্নার কিছু বাকী আছে—বলিলেও শুনিলেন না, আবদেরে ছেলের মতন বুলিলেন, “যা হয়েছে শীগগির নিয়ে আয়, আমি আয় বস্তে পাচ্ছিনে, খিদেয় পেট জলে যাচ্ছে।” শিষ্য কাজেই তাড়াতাড়ি আগে স্বামিজীকে মাছের মুক্ত নি ও ভাত দিয়া গেল, স্বামিজীও তৎক্ষণাৎ খাইতে আরম্ভ করিলেন। অনন্তর শিষ্য বাটীতে করিয়া وته