আমার সুমরনীতি SS a নিজের রক্তমাংস-স্বরূপ জনসাধারণ দিন দিন ডুবিতেছে, তাহাদের খবর কে লয় ? ইহাই ছিল আমার প্রথম সোপান । মানিলাম, তোমরা দেশের দুর্দশার কথা প্রাণে প্রাণে বুঝিতেছ ; কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, હરું দুর্দশ প্রতিকার করিবার কোন উপায় স্থির করিয়াছ কি ? কেবল বৃথাবাক্যে শক্তিক্ষয় না করিয়া কোন কার্যকর পথ বাহির করিয়াছ কি ? মাতুষদের গালি না দিয়া তাহদের যথার্থ কোন সাহায্য করিতে পারো কি ? স্বদেশবাসীর এই জীবন্মত অবস্থা দূর করিবার জন্য তাহাদের এই ঘোর দুঃখে কিছু সাস্বনাবাক্য শুনাইতে পারো কি ?–কিন্তু ইহাতেও হইল না । তোমরা কি পর্বতপ্রায় বাধাবিঘ্নকে তুচ্ছ করিয়া কাজ করিতে প্রস্তুত আছ ? যদি সমগ্র জগং তরবারি হস্তে তোমাদের বিপক্ষে দণ্ডায়মান হয়, তথাপি তোমরা যাহা সত্য বলিয়া বুৰিয়াছ, তাহাই করিয়া যাইতে পারো কি? যদি তোমাদের স্ত্র-পুত্ৰ তোমাদের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হয়, যদি তোমাদের ধন-মান সব যায়, তথাপি কি তোমরা উহা ধরিয়া থাকিতে পারো ? রাজা ভর্তৃহরি যেমন বলিয়াছেন, ‘নীতিনিপুণ ব্যক্তিগণ নিন্দাই করুন বা স্তবই করুন, লক্ষ্মীদেবী গৃহে আমুন বা যথা ইচ্ছা চলিয়া যান, মৃত্যু আজই হউক বা যুগান্তরেই হউক, তিনিই ধীর, যিনি সত্য হইতে এক বিন্দুও বিচলিত হন না।” সেইরূপ নিজ পথ হইতে বিচলিত না হইয়া তোমরা কি তোমাদের লক্ষ্যাভিমুখে অগ্রসর হইতে পারে? তোমাদের কি এইরূপ দৃঢ়তা আছে ? যদি এই তিনটি জিনিস তোমাদের থাকে, তবে তোমরা প্রত্যেকেই অলৌকিক কার্য সাধন করিতে পারো । তোমাদের সংবাদপত্রে লিখিবার অথবা বক্তৃতা দিয়া বেড়াইবার প্রয়োজন হইবে না । তোমাদের মুখ এক অপুর্ব স্বগীয় জ্যোতিঃ ধারণ করিবে । তোমরা যদি পর্বতের গুহায় .যাইয়া বাস কর, তথাপি তোমাদের চিন্তারাশি ঐ পর্বতপ্রাচীর ভেদ কব্লিয়া বাহির হইবে। হয়তো শত শত বৎসর যাবৎ উহা কোন আশ্রয় না পাইয়া স্বাক্ষাকারে সমগ্র জগতে ভ্রমণ করিবে । কিন্তু একদিন না একদিন উহা কোন না কোন মস্তিষ্ককে আশ্রয় করিবেই করিবে। তখন সেই চিন্তাকুযায়ী কার্য হইতে থাকিবে । অকপটতা, সাধু উদ্বেগু ও চিস্তার শক্তি অসামান্ত । ১ নিদত্ত নীতিৱিপুণ যদি বা স্তবস্তু, লক্ষ্মী সমাবিশতু গচ্ছতু বা যথেষ্ট। DBB B BBBBB BBBB BS BBB BB BBBBB BBB D DBSDBBBDS 00
