পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ ૦ ૨ স্বামীজীর ব্রাণী ও রচনা হইবে ? গত বারো বংসর যাবৎ কাল কি খাইব, তাহার ঠিক ছিল না, কিন্তু আমি জানিতাম—অর্থ এবং আমার যাহা কিছু আবখ্যক সে-সব আসিবেই আসিবে, কারণ অর্থাদি আমার দাস, আমি তো তাহাদের দাস নহি । আমি বলিতেছি নিশ্চয় আসিবে। জিজ্ঞাসা করি মানুষ কোথায় ? আমাদের অবস্থা কি দাড়াইয়াছে, তাহা তোমাদিগকে পুর্বেই বলিয়াছি ;–মানুষ কোথায় ? হে মাদ্রাজের যুবকবৃন্দ, আমার আশা তোমাদের উপর, তোমরা কি তোমাদের সমগ্র জাতির আহবানে সাড়া দিবে না ? তোমরা যদি ভরসা করিয়া আমার কথায় বিশ্বাস কর, তবে আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমাদের প্রত্যেকেরই ভবিষ্যং বড় গৌরবময় । নিজেদের উপর প্রবল বিশ্বাস রাখো, যেমন বাল্যকালে আমার ছিল । আর সেই বিশ্বাস বলেই আমি এখন এই-সকল কঠিন কার্যসাধনে সমর্থ হইতেছি । তোমরা প্রত্যেকে নিজের প্রতি এই বিশ্বাস-সম্পন্ন হও যে, অনন্ত শক্তি তোমাদের সকলের মধ্যে রহিয়াছে । তোমরা সমগ্র ভারতকে পুনরুজ্জীবিত করিবে । ই, আমরা জগতের সকল দেশে যাইব, আর আগামী দশ বৎসরের মধ্যে যে-সকল বিভিন্ন শক্তি-সহযোগে জগতের প্রত্যেক জাতি গঠিত হইতেছে, আমাদের ভাব তাহার উপাদান-স্বরূপ হইবে । আমাদিগকে ভারতে বা ভারতের বাহিরে প্রত্যেক জাতির জীবনের মধ্যে প্রবেশ করিতে হইবে--আর এই অবস্থা অনিবার জন্য আমাদিগকে উঠিয়া পড়িয়া লাগিতে হইবে । ইহার জন্য আমি চাই কয়েকটি যুবক | বেদ বলিতেছেন, ‘আশিষ্ঠে দ্রঢ়িষ্ঠে বলিষ্ঠে মেধাবী’ –আশাপূর্ণ বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা ও মেধাবী যুবকগণই ঈশ্বরলাভ করিবে । তোমাদের ভবিষ্যং জীবনগতি স্থির করিবার এই সময় ; যতদিন যৌবনের তেজ রহিয়াছে, যতদিন না তোমরা কর্মশ্রান্ত হইতেছ, যতদিন তোমাদের ভিতর যৌবনের নবীনত ও সতেজ ভাব রহিয়াছে ; কাজে লাগো —এই-তে সময় । কারণ নবপ্রস্ফুটিত অস্পৃষ্ট অনাস্ত্ৰাত পুস্পই কেবল প্রভুর পাদপদ্মে অপণের যোগ্য—তিনি তাহ গ্রহণ করেন । তবে ওঠ, ওকালতির চেষ্টা বা বিবাদ-বিসংবাদ প্রভৃতি করা অপেক্ষ বড় বড় কাজ রহিয়াছে। অায়ু স্বল্প, সুতরাং তোমাদের জাতির কল্যাণের জন্য—সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের ১ তৈত্তিরীয় উন্ন , ২৮১